আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২ গোলে জয় অনিবার্য এটিকে-র
আইএসএলের ফাইনালে পৌঁছতে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২ গোলে জয় অনিবার্য এটিকে-র
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ তথা অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে হার হজম করতে হয়েছে এটিকে-কে। এবার ঘরের মাঠে সুনীল ছেত্রীদের শুধু পাল্টা দেওয়াই নয়, বড় ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছতে বদ্ধপরিকর রয় কৃষ্ণরা। তবে কাজটা যে কঠিন, তা মেনে নিচ্ছেন আন্টোনিও লোপেজ হাবাস। দলকে সেভাবেই পেপ টকও দিচ্ছেন স্পেনিয় কোচ।
প্রথম লেগে হার
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠ শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে হারতে হয় এটিকে-কে। সেদিন দুর্দান্ত খেলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের দল। ফলে ঘরের মাঠ বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামার আগে রয় কৃষ্ণরা যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে, তা বলাই চলে।
কী বলছে সমীকরণ
আইএসএল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এটিকে-কে ১-০ গোলে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছতে রয় কৃষ্ণদের ঘরের মাঠে অন্তত ২ গোলে জিততেই হবে। নির্ধারিত সময় শেষে এটিকে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও ফল অমীমাংসিত থাকলে টাইব্রেকারে ম্যাচের ফয়সলা হবে। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু কোনওভাবে এক গোল শোধ দিয়ে দিলে কিংবা এটিকে-র পক্ষে ২-১ ফলে খেলা শেষ হলেও অ্যাওয়ে অ্যাডভান্টেজে ফাইনালে পৌঁছে যাবেন সুনীল ছেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে এটিকে-কে হয় ২-০ নয় ৩-১ গোলে জিততেই হবে।
ঘরের মাঠ ও দুর্দান্ত ছন্দ ফ্যাক্টর
আইএসএল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামার আগে সমীকরণ এটিকে-র বিরুদ্ধে গেলেও, রয় কৃষ্ণদের কাছে ঘরের মাঠই অ্যাডভান্টেজ। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বিবেকানন্দ যুবভারতীয় স্টেডিয়ামে যে বহু ফুটবল প্রেমী ভিড় জমাবেন, তা বলা যেতে পারে। তাঁদের সমর্থন এটিকে-র কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে। অন্যদিকে চলতি আইএসএলে আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের আক্রমণাত্মক রণনীতিও চিন্তায় রাখবে বেঙ্গালুরু এফসি-কে। চলতি টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ৩৩টি গোল করেছেন রয় কৃষ্ণ, উইলিয়ামসরা। সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও বেশ কয়েকবার গোলের কাছে পৌঁছেও ফিরে আসতে হয়েছিল হাবাসের দলকে।
ফ্যাক্টর হাবাস
প্রথম মরশুমে স্পেনিয় কোচ আন্টোনিও লোপেজ হাবাসের হাত ধরে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে। তাঁর সুচতুর ফুটবল মস্তিষ্ক আজকের সন্ধ্যায় দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে বলে বিশ্বাস করেন কলকাতার ফুটবল প্রেমীরা।