ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ঘিরে কেন ধোঁয়াশা?
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ ঘিরে কেন ধোঁয়াশা?
ভারতে প্রাক-মরশুম প্রদর্শনী ম্য়াচ খেলতে কী সত্যিই রাজি হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড! কলকাতায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কী ম্যাচ খেলবেন রেড ডেভিলসরা? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের ফুটবল মহলে। সূত্রের খবর প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের বেশকিছু শর্ত ভাবাচ্ছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন ও ইস্টবেঙ্গলকে।
শুরুতেই বিতর্ক
এদিন শুরু হল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তবে নোট বাতিল বিতর্কে একেবারে প্রথম মুহূর্ত থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় সংসদের উচ্চ কক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্নকক্ষ লোকসভায়। বিরোধী আক্রমণে লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায়। তবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে কেন্দ্রকে কড়া আক্রমণ করেন বিরোধী কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা।
ম্যাচ কোথায় হওয়ার কথা
এখনও পর্যন্ত যা খবর, সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এক কর্তা এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বলেছেন, ভারতে প্রাক-মরশুম প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে রাজি হয়েছে ম্যান ইউ।
আনন্দ উবাচ
আনন্দ শর্মা বলেন, ব্যাঙ্কের বাইরে স্রোতের মতো মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তার মধ্যে একজনও শিল্পপতি অথবা ধনী ব্যক্তিকেও দেখা যাচ্ছে না। শুধু গরিব মানুষরাই রয়েছেন লাইনে, যাদের হাতে কোনও নগদ অর্থ নেই।
ম্যাচ কবে হওয়ার কথা
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম ইস্টবেঙ্গলের প্রদর্শনী ম্যাচের স্থান ঠিক হলেও, দিন ও সময় এখনও নির্ধারণ হয়নি। ম্যান ইউ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং বিশ্ব ফুটবলের সূচি দেখেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ভারতীয় ফুটবল সংস্থার এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, মার্চের আগে এ বিষয়ে কিছু জানানো সম্ভব নয়।
বিরোধিতায় মমতা
এদিকে সংসদের বাইরে নোট বাতিল বিতর্কে লাইমলাইটে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত হেঁটে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিবসেনা ও আম আদমি পার্টির সদস্যরা। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও সেখানে ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন মমতা।
|
নিশ্চিত নয়
ভারতে খেলতে রাজি হলেও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড যে নিশ্চিত ভাবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবেই, তা এখনই বলছে না প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব। ম্যান ইউ-র এক প্রতিনিধি টুইটারে লিখেছেন, কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আপাতত ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাদের ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে।
মমতার আক্রমণ
সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ফের একবার মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হন। বলেন, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, সমস্ত জায়গা থেকে আমরা এসে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। এবার তিনি তা উচিত মনে করলে পদক্ষেপ করবেন। এই নীতির ফলে গরিব না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে। এভাবে চললে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি হবে।
কত খরচ
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে প্রদর্শনী ম্যাচের আনুমানিক আর্থিক প্যাকেজ ২৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। আনুসাঙ্গিক মিলিয়ে ওই ম্যাচে মোট ৩০ কোটি টাকার খরচ ধরা হয়েছে।
শিবসেনার বিরোধিতা
শিবসেনার তরফে জানানো হয়েছে যে কালো টাকার বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে তা তাঁরা সমর্থন করেন, তবে সাধারণ মানুষের যে হয়রানি হচ্ছে তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটার তারা বিরোধিতা করছেন।
চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে শহরে আনানোর সমস্ত রকম চেষ্টা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। একই সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাবের অ্যাপিয়ারেন্স ফি জোগাড় করা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে লাল-হলুদ শিবির।
পীযূষ গোয়েলের বক্তব্য
রাজ্যসভায় বিতর্কের মাঝে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, এই প্রথম বড় ধরনের নোট বাতিল করার মধ্য দিয়ে সরকার সাধারণ মানুষকেই শ্রদ্ধা জানাল এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিল।
মোদীর আশা
এদিন বিতর্কসভা শুরুর আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী সুস্থ বিতর্কের আহ্বান জানান। পাশাপাশি জিএসটি নিয়ে বিরোধীরা সদর্থন পদক্ষেপ করবে বলেও এদিন আশাপ্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও এদিন নোট বাতিল ইস্যুতেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ।
শর্মার খোঁচা
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে সভা করতে গিয়ে নোট বাতিল বিতর্ক নিয়ে মোদী বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি বড় শক্তি কাজ করছে। আমাকে ওরা বাঁচতে দেবে না। তাই নিয়ে এদিন কটাক্ষ করে আনন্দ শর্মা জানতে চান, কে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছে, আমাদের তা জানান। আমরা চাই আপনি দীর্ঘজীবী হোন।
বিরোধী বক্তব্য
বিরোধীদের বক্তব্য, বড় বড় কালো টাকা কারবারিদের আগে থেকে বলে দেওয়া হয়েছিল এই নোট বাতিলের খবর। ফলে অনেকে আখের গুছিয়ে নিতে পেরেছে। যদিও সরকার পুরোটাই অস্বীকার করেছে।
রামগোপাল যাদবের বিরোধিতা
সমাজবাদী পার্টির তরফে সাংসদ রামগোপাল যাদব বলেন, বাইরে গিয়ে দেখুন কীভাবে আমজনতা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। গ্রামে-গঞ্জে সব জায়গায় একই ছবি দেখা যাচ্ছে। সংসার চালাতে মহিলাদের কষ্ট হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। মন্ত্রীদের হাতের কাছে পেলে তারা ছেড়ে দেবে না।
নোট ছাড়া বাকী ইস্যু
এদিন প্রথম দিনে নোট বাতিল নিয়ে বিতর্ক হলেও আগামিদিনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি, এক পদ এক পেনশন বিতর্ক ও কৃষকদের দুর্দশার মতো বিষয়গুলি নিয়ে বারবার সংসদ উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।