শেষ বলে ভাগ্য বদল : মাল্য গম্ভীর, চওড়া হাসি শাহরুখের মুখে
শারজা, ২৫ এপ্রিল : জয় একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জারস ব্যাঙ্গালোরের। কিন্তু শেষ মেশ আর তাল রাখতে পারল না। সুর কাটল। কলকাতা নাইট রাইডার শকুনের মতো ছো মেরে নিয়ে বেরিয়ে গেল আরসিবির জেতা ম্যাচ। শেষ ওভারে বিনয় কুমারে দুরন্ত মাপা বোলিং এবং নবীন ক্রিস লায়েনের উড়ন্ত ক্যাচ কেকেআরের জয় নিশ্চিত করে দেয়।
এদিনের কেকেআর-আরসিবি ম্যাচ যাঁরা পুরোটা দেখেছেন তারা চোখের সামনে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটতে দেখেছেন বললে আশা করি খুব একটা বেশি বলা হবে না। শুধু দর্শক কেন এদিনের জয়ী দল জেতার পাঁচ মিনিট আগেও কী বুঝেছিলাম ম্যাচের ফল কী হতে চলেছে?
শুরুটা তো ছিল নিয়মমাফিক এবং বেশ ম্যাড়ম্যাড়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে টিম কেকেআর। অধিনায়ক অবশ্য এদিনও রানের খাতা খুলতে বিফল হয়েছেন। এই নিয়ে এই টুর্নামেন্টে তৃতীয়বার শূন্য অর্ঝন করে গম্ভীর মুখেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় গম্ভীরকে। মিশেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লু হন গম্ভীর।
শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় কেকেআর-এর,তিরে এসে তরী ডুবিয়ে হাত কামড়াচ্ছে আরসিবি
ক্রিস লায়েন ৩১ বলে ৪৩ রানের একটি ঝড়ঝড়ে ইনিংস খেলেন। ৩টি ছয়ও হাঁকিয়েছেন লায়েন। অভিজ্ঞ জ্যাক ক্যালিস এদিনও ৪২ বলে ৪৩ রানে সাবলীল। যদিও শেষের দিকে আরসিবি-র মুথাইয়া মুরলীথরন ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে কেকেআর-এর অনেকটা সুবিধা করে দেন। আরসিবির সফল বোলার বরুণ আরোরা ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
কেকেআর-এ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে আরসিবি। যোগেশ টাকাওয়ালে ৪০ রান করেন। পার্থিব পটেল ২১ এবং আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৩১ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। যদিও এদিনও কিছুটা হলেও রানের গতি কমিয়েছেন যুবরাজ সিং। ফের তাঁর ধীর ব্যাটিং রান রেটের পার্থক্য অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আর তখনই ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন কেকেআর-এর স্টার বোলার সুনীল নারিন।
ম্যাচে এমন একটা সময় ছিল যখন আরসিবি-কে জিততে হলে দরকার ছিল ২৪ বলে ২৮ রান। ২০-২০ ম্যাচে হাতে এতগুলি উইকেট নিয়ে এই রান তাড়া করা যেন একেবারেই হাতের মোয়া। সেই জায়গা থেকে শেষে ২ রানে জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার। ৫ উইকেট আরসিবির হাতে থাকলেও ২ রানই তফাৎ গড়ে দিল। ফের চওড়া হাসি শাহরুখের মুখে।