তথ্যচিত্রে স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগ! অস্বীকার ইসিবি-র, তদন্ত করছে আইসিসি
সম্প্রতি আল জাজিরা নেটওযার্কের এই তথ্যচিত্রে তোলা ইংরেজ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগকে খন্ডন করলো ইসিবি।
গড়াপেটার অভিযোগ অস্বীকার করলো ইংল্য়ান্ডের ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। এক টেলিভিশন ডকুমেন্টারিতে অভিযোগ করা হয়েছে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিল। যা নিয়ে আপাতত উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব।
কাতার-ভিত্তিক আল জাজিরা নেটওয়ার্কের এক তথ্যচিত্রে ইংল্যান্ডের কয়েকজন-সহ বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণের দাবি করা হয়েছে। তাদের দাবি, ২০১১-১২ সালে টেস্ট, ওডিআই ও টি-২০ - তিন ধরণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই স্পট ফিক্সিং ঘটেছে।
এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ম্যাচগুলি নিয়ে আইসিসির তরফ থেকে কোনও চার্জ আনা হযনি। ইসিবিও দাবি করেছে, ইংল্যান্ডের কোনও বর্তমান বা প্রাক্তন ক্রিকেটার, দুর্নীতিতে জড়িত থাকা বা সন্দেহজনক আচরণের জন্য তাদের নিজস্ব বিশ্লেষকদের সন্দেহের তালিকায় নেই। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, 'ইসিবি দুর্নিতী রোধে ও ক্রিকেটের অখন্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে নিজেদের ভূমিকাকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয়।'
তারা আরও জানিয়েছে আল জাজিরার তরফে তাদের কাছে এই বিষয়ে অতি সামান্য তথ্যই পাঠানো হয়েছে। সেইসব তথ্যও অস্পষ্ট। সেই তথ্য তাদের বিশ্লেষকরা খুঁটিয়ে দেখেছেন। কিন্তু তাতে কোনও ইংরেজ ক্রিকেটারকে সন্দেহ করার মতো কিছু নেই। তবে সব তথ্যই আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও আল জাজিরার আর এক তথ্যচিত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আইসিসির দাবি তারা সব অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে। তাদের দুর্নীতি দমন শাখার জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স সার্শাল জানিয়েছেন, 'ক্রিকেটের অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে আইসিসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।'
নয়া তথ্যচিত্রেরও সব ফুটেজ সংগ্রহ করে যাবতীয় অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকী আইসিসির বাইরের স্বাধীনভাবে কাজ করা প্রফেশনাল বেটিং অ্যানালিস্টদেরও তদন্তের কাজে লাগানো হবে। আল জাজিরার সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করছেন।