বিশ্বকাপ ২০১৯: ভারতের দলে ঢোকার দৌড়ে এই অলরাউন্ডাররা - কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে
আইসিসির বিশ্বকাপ ২০১৯-এর দলে অলরাউন্ডারের জায়গার জন্য ভারতের বিকল্পদের বিশ্লেষণ।
হুড়মুড় করে আসছে আইসিসি বিশ্বকাপ। হাতে আর তিন মাস সময় রয়েছে। প্রতিটি ক্রিকেট খেলিয়ে দেশই দ্রুত নিজেদের দল গুছিয়ে নিতে চাইছে। এবারের কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। সত্যি বলতে ভারত এই ব্যাপারে অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একদিনের ম্য়াচের সিরিজ শুরু হওয়ার আগে আলোচনায় ছিল দলের মিডল অর্ডার, বিশেষত চার নম্বর জায়গাটি নিয়ে। রায়ডু সেই চিন্তা অনেকটাই দূর করার পরও একটি তুলনায় অনালোচিত জায়গা নিয়ে বিরাট কোহলির চিন্তা থেকে গিয়েছে। পুনে ম্যাচে হঠাতই হোঁচট খাওয়ায় দলের ভারসাম্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল দলে অলরাউন্ডারের অভাব।
এই শূন্যস্থান পূরণের লড়াইতে আছেন মূলত ৩ ক্রিকেটার। কিন্তু সেই তিনজনের মধ্যে কে থাকবেন মূল দলে, তা নিয়ে ভারতের দোনোমোনো ভাব এখনও রয়ে গিয়েছে।
জননেত্রী
আজ দুপুর ১২ টায় ধর্মতলায় শুরু হবে ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস সমাবেশ।
হার্দিক পাণ্ডিয়া
ভারত বরাবরই দলে একজন জোরে বোলার অলরাউন্ডারে খোঁজ করেছে। কপিল দেবের পর বিভিন্ন সময়ে দলে সঞ্জয় বাঙ্গার বা ইরফান পাঠানদের দেখা হগিয়েছে। সেই ধারারই নবতম সংযোজন হার্দিক। ২০১৬-এয় ভারতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর, তাঁর কাছ থেকে দল যখন যা চেয়েছে, তিনি করে দেখিয়েছেন। ডেথ ওভারে মেরে রান তোলা হোক, বা দ্রুত উইকেট তুলে প্রতিপক্ষের রান তোলার গতিকে থমকে দেওয়া - সব বিষয়েই তিনি সফল হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ৪৩ বলে ৭৬ রান তুলে তিনি তাঁর ব্য়াটিং প্রতিভার পরিচয় রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম বেশ পড়তির দিকে। ব্য়াটিং নিয়ে সমস্য়া না থাকলেও বল হাতে তাঁর ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। তার উপর এশিয়া কাপে তাঁর চোট দলের একনম্বর অলরাউন্ডারের আসন থেকে তাঁকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এপরেই শুরু হবে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস সমাবেশ। আর তারই আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রবীন্দ্র জাদেজা
হার্দিকের সেই চোটই জাদেজাকে বিশ্বকাপের দলে ঢোকার দৌড়ে ফিরিয়ে এনেছে। ২০০৮ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। তারপর থেকে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেক উত্থান-পতন গিয়েছে। শুরুর দিকে অশ্বিনে সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন তিনি। পরে 'কুল-চা' জুটিকে জায়গা করে দিতে অশ্বিন-জাদেজা দুজনেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দল থেকে ছিটকে যান। তবে এখন তিনি রয়েছেন অলরাউন্ডারদের লড়াইয়ে। দলে ফেরার পর তেকে এখনও অবধি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। অতীতে তিনি বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত হলেও ইদানিং ব্য়াট হাতে প্রভুত উন্নতি করেছেন তিনি। এর আগে ধারাবাহিকতার অভাব তাঁর নেতিবাচক দিক ছিল। প্রত্যাবর্তনের পর থেকে কিন্তু ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।
এই সেই মঞ্চ
এই মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেদার যাদব
২০১৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়া কেদার যাদব এই জায়গায় তৃতীয় দাবিদার। তিনি মলত ব্যাটসম্য়ান। বোলিংয়ে তাঁর সীমাবদ্ধতা আছে তা নিজেও মানেন। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতাকেই কাজে লাগিয়ে একদিনের ক্রিকেটে একাধিকবার মাঝের ওভারে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিতে দেখা গিয়েছে। স্রেফ লেন্থের হেরফের ঘটিয়েই তিনি প্রিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতে পারেন। ডেথ ওভারে হার্ড হিটার হিসেবে খেলতে পারেন না ঠিকই কিন্তু তাঁর উইকেট বাঁচিয়ে ইনিংস টানার ক্ষমতা রয়েছে। হাতে বড় শটও আছে। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১০০-এর উপরে।
অচল হবে মহানগরী
প্রতি বছরের এই দিনটিরর মতো আজও ধর্মাতলা চত্ত্বর এই রূপই নিতে চলেছে।
কালো ঘোড়া
এই ৩ জনের বাইরেও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, দীপক হুডা ও বিজয় শঙ্কর-রা রয়েছেন দৌড়ে। যেটুকু সুযোগ পেয়েছএন বা, লিস্ট এ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিন্তু এই তিন অলরাউন্ডারও ভাল খেলার নজির রেখেছেন। তবে, বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে তাঁদের মতো অনভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে নামার ঝুঁকি ভারত নেবে না বলেই মনে হয়।
শিয়ালদহ স্টেশন
গতকাল রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে শুরু করেছে। হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, ময়দানে রাত কাটিয়েছে অনেকে।
সমর্থকদের উন্মাদনা
২১ জুলাই ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন তৃণমূল সমর্থক ও কর্মীরা।
সেই কালো দিন
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই যুব কংগ্রেসের একটি মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। সেই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ জন মারা গিয়েছিল পুলিশের গুলিতে।
ছবি সৌজন্য : তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট
ফাইল চিত্র
সেই দিনেরই আরও একটি ছবি। পুলিশ গুলি চালাচ্ছে তার ছবি ধরা পড়েছে এখানে।
ভাইপো ভালবাসা
এই মঞ্চ থেকেই মুকুল-মদনের অনুপস্থিতিতে নিজের আদরের ভাইপো অভিষেকের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেন কি না তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।
জেলে মদন
মমতা ঘণিষ্ঠ মদন মিত্র জেলে। ফলে এবারের শহিদ দিবস সমাবেশে মঞ্চে দেখা যাবে না মদন মিত্রকে।
মমতা-মুকুল দুরত্ব
এই প্রথমবার একদা তৃণমূলের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী নেতা তথা মমতার ডানহাত মুকুল রায়কেও দেখা যাবে না মঞ্চে। কারণ রাজনৈতিক দুরত্ব।
প্রথম তিনজনই ভারতের বিশ্বকাপ দলে থাকার যোগ্য। কিন্তু ভারতীয় স্কোয়াডে দুই জনের বেশি অলরাউন্ডারের জায়গা নেই। কাজেই এই তিনজনের মধ্যে দুইজনই ইংল্যান্ডগামী বিমানে জায়গা পাবেন। ভারতের হাতে বিশ্বকাপের আগে এখনও বেশ কিছু ম্য়াচ রয়েছে। আশা করা যায় তারমধ্যেই তিনজনের মধ্যে দুইজন এগিয়ে যাবেন।