
হার্দিক পাণ্ডিয়া
ভারত বরাবরই দলে একজন জোরে বোলার অলরাউন্ডারে খোঁজ করেছে। কপিল দেবের পর বিভিন্ন সময়ে দলে সঞ্জয় বাঙ্গার বা ইরফান পাঠানদের দেখা হগিয়েছে। সেই ধারারই নবতম সংযোজন হার্দিক। ২০১৬-এয় ভারতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর, তাঁর কাছ থেকে দল যখন যা চেয়েছে, তিনি করে দেখিয়েছেন। ডেথ ওভারে মেরে রান তোলা হোক, বা দ্রুত উইকেট তুলে প্রতিপক্ষের রান তোলার গতিকে থমকে দেওয়া - সব বিষয়েই তিনি সফল হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ৪৩ বলে ৭৬ রান তুলে তিনি তাঁর ব্য়াটিং প্রতিভার পরিচয় রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক ফর্ম বেশ পড়তির দিকে। ব্য়াটিং নিয়ে সমস্য়া না থাকলেও বল হাতে তাঁর ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। তার উপর এশিয়া কাপে তাঁর চোট দলের একনম্বর অলরাউন্ডারের আসন থেকে তাঁকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে।

রবীন্দ্র জাদেজা
হার্দিকের সেই চোটই জাদেজাকে বিশ্বকাপের দলে ঢোকার দৌড়ে ফিরিয়ে এনেছে। ২০০৮ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটারের। তারপর থেকে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে অনেক উত্থান-পতন গিয়েছে। শুরুর দিকে অশ্বিনে সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন তিনি। পরে 'কুল-চা' জুটিকে জায়গা করে দিতে অশ্বিন-জাদেজা দুজনেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দল থেকে ছিটকে যান। তবে এখন তিনি রয়েছেন অলরাউন্ডারদের লড়াইয়ে। দলে ফেরার পর তেকে এখনও অবধি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। অতীতে তিনি বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত হলেও ইদানিং ব্য়াট হাতে প্রভুত উন্নতি করেছেন তিনি। এর আগে ধারাবাহিকতার অভাব তাঁর নেতিবাচক দিক ছিল। প্রত্যাবর্তনের পর থেকে কিন্তু ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।

কেদার যাদব
২০১৪ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়া কেদার যাদব এই জায়গায় তৃতীয় দাবিদার। তিনি মলত ব্যাটসম্য়ান। বোলিংয়ে তাঁর সীমাবদ্ধতা আছে তা নিজেও মানেন। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতাকেই কাজে লাগিয়ে একদিনের ক্রিকেটে একাধিকবার মাঝের ওভারে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিতে দেখা গিয়েছে। স্রেফ লেন্থের হেরফের ঘটিয়েই তিনি প্রিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতে পারেন। ডেথ ওভারে হার্ড হিটার হিসেবে খেলতে পারেন না ঠিকই কিন্তু তাঁর উইকেট বাঁচিয়ে ইনিংস টানার ক্ষমতা রয়েছে। হাতে বড় শটও আছে। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১০০-এর উপরে।

কালো ঘোড়া
এই ৩ জনের বাইরেও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, দীপক হুডা ও বিজয় শঙ্কর-রা রয়েছেন দৌড়ে। যেটুকু সুযোগ পেয়েছএন বা, লিস্ট এ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিন্তু এই তিন অলরাউন্ডারও ভাল খেলার নজির রেখেছেন। তবে, বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টে তাঁদের মতো অনভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে নামার ঝুঁকি ভারত নেবে না বলেই মনে হয়।