ভ্যালেন্টাইন্স ডে : কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটাদের প্রেম কাহিনি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
ভ্যালেন্টাইন্স ডে : কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটাদের প্রেম কাহিনী এক নজরে দেখে নেওয়া যাক
রাত পোহালেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। প্রেমের জোয়ারে ভাসবে বিশ্ব। যেমনটা ভেসেছিলেন তাঁরাও। ভারতের সেসব কিংবদন্তী ক্রিকেটারদের প্রেম কাহিনী, যা যে কোনও বলিউড সিনেমার কাহিনীকে হার মানাবে, সেদিকে নজর ফেরানো যাক।
সৌরভ ও ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়
বেহালার যে বাড়িতে জন্ম থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, তার পাশের বাড়িতে থাকতেন বিসিসিআই সভাপতির স্ত্রী তথা প্রখ্যাত ওড়িশি নৃত্য শিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়ির লনে যখন ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টন খেলতেন মহারাজ, পাশের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে তা দেখতেন ডোনা। সেখান থেকেই চোখাচোখি, ভালো লাগা, প্রথম ডেটের পর একে অপরের প্রেমে পড়ে যান সৌরভ ও ডোনা।
লুকিয়ে বিয়ে : ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে ভারতীয় দলের হয়ে কেরিয়ারের অভিষেক টেস্টেই শতরান করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সফর থেকে ফিরে এসেই ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন মহারাজ। তবে গোটা ব্যাপারটি লুকিয়ে সারেন মহারাজ। একেবার রেজিস্ট্রি করে স্ত্রীকে ঘরে তোলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি।
সচিন ও অঞ্জলি তেন্ডুলকর
এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জলি তেন্ডুলকর জানান যে একটা সময় সচিন তেন্ডুলকরকে চিনতেনই না তিনি। বান্ধবীদের কাছ থেকে সচিনের নাম শুনলেও বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তবে গোল বাঁধে ১৯৯০-তে। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সফর সেরে ভারতে ফিরেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নেমেছিলেন তিনি। সেই সময় বিমানবন্দরে ছিলেন অঞ্জলি তেন্ডুলকরও। সচিনকে দেখেই তাঁর ভালো লেগে যায়। পরে তিনি নিজে মাস্টার ব্লাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানিয়েছেন পেশার ডাক্তার অঞ্জলি। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেমের কাহিনী। দুই পরিবারের সম্মতিতে চার হাত এক হয় কিছুদিন পরেই।
বীরেন্দ্র ও আরতি শেহওয়াগ
এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ নিজে জানিয়েছেন যে ছোটবেলায় এক অনুষ্ঠান বাড়িতে আরতি-র সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। প্রথম দেখাতেই তাঁদের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয় বলেও জানান বীরু। বয়স পরিণত হলে তাঁর ও আরতির সেই সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা।
অনিল ও চেতনা কুম্বলে
বিবাহিত মহিলার প্রেমে পড়েছিলেন ভারতের স্পিন লেজেন্ড অনিল কুম্বলে। সেই মহিলাও জাম্বোর প্রেমে পাগল ছিলেন। কারণ, সেই সময় সাংসারিক জীবনে অসুখি পেশায় ট্রাভেল এজেন্ট চেতনা ভারতীয় লেজেন্ডের মধ্যে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁদের সুদীর্ঘ প্রেম কাহিনী বিস্তর নামা-ওঠা থাকলেও হার মানেননি অনিল ও চেতনা। ১৯৯৯ সালে প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ করে কুম্বলেকে বিয়ে করেন চেতনা।
রোহিত ও রীতিকা
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মার স্পোর্টস ম্য়ানেজার ছিলেন রীতিকা। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। ৬ বছর প্রেম পর্ব চলার পর ২০১৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রোহিত শর্মা ও রীতিকা।
অজিঙ্ক ও রাধিকা রাহানে
স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ও তাঁর স্ত্রী রাধিকা। সেখানেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা। ২০১৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অজিঙ্ক ও রাধিকা।