জাহিরের বদলে যিনি বোলিং কোচ হবেন, সেই ভরত অরুণের রেকর্ড জানেন
রবি শাস্ত্রী যাকে বোলিং কোচ করার জন্য তদ্বির করে আসছেন সেই ভরত অরুণের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, তা জাহির খানের রেকর্ডের সামনে কিছুই নয়।
কপিল দেবের পরে ভারতের সর্বকালের সেরা পেস বোলারদের তালিকায় নিঃসন্দেহে জাহির খান দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নেবেন। আর বাহাঁতি পেসার হিসাবে তিনি এদেশের সর্বকালের সেরা, সন্দেহ নেই।
এহেন জাহির খানকে ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি বোলিং কোচ করে এনেছিল। তবে তাঁকে পছন্দ নয় নতুন হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর। আর তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে জাহিরকে সরিয়ে বোলিং কোচের জায়গায় বোলিং পরামর্শদাতা হিসাবে বেছে বেছে বিদেশ সফরে ব্যবহার করা হবে।
নতুন কোচ রবি শাস্ত্রী যাকে বোলিং কোচ করার জন্য তদ্বির করে আসছেন সেই ভরত অরুণের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাবে, তা জাহির খানের রেকর্ডের সামনে কিছুই নয়।
বছর ৫৪-র ভরত অরুণ তামিলনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন। ১৯৮৭-৮৮ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়। কপিল দেবের পাশে জোরে বোলার হিসাবে শ্রীলঙ্কা সফরে খেলেন ভরত। এবং সেটাই শেষ সিরিজ ছিল অরুণের।
সেই সিরিজে মোট ২টি টেস্ট খেলেন অরুণ। ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া ভারতের হয়ে ৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেন অরুণ। উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি। আর ঘরোয়া ক্রিকেটের কথা ধরলে মোট ৪৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ভরত অরুণ। রান করেছেন ৩৫৬৯। এবং উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১১০টি।
আর জাহিরের রেকর্ড বলতে ২০০০ সালে অভিষেকের পর মোট ২০০টি একদিনের ম্যাচে ২৮২টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। আর দেশের হয়ে ৯২টি টেস্ট খেলে ৩১১টি উইকেট রয়েছে এই বাঁহাতি পেসারের ঝোলায়। এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬৯টি ম্যাচ খেলে জাহির ৬৭২টি উইকেট নিয়েছেন।
রেকর্ড, পরিসংখ্যান এসব কোচ হিসাবে কাজে লাগে না ঠিকই। তবে জাহির যেভাবে কপিল পরবর্তী জমানায় স্যুইং ও রিভার্স স্যুইংয়ের কেরামতি দেখিয়েছেন, সেটা দেখাতে বা শেখাতে পারবেন তো ভরত অরুণ বা রবি শাস্ত্রীরা? প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে।