ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে সমস্বরে একই কথা বলেছিলেন সৌরভ-সচিন-দ্রাবিড়!
ন্যাটওয়েস্ট ফাইনালে সমস্বরে একই কথা বলেছিলেন সৌরভ-সচিন-দ্রাবিড়!
ইংল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল হারিয়েছিল ভারত। ঐতিহাসিক লর্ডসে ইতিহাস রচনা করেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া। হাড্ডাহাড্ডি ওই ম্যাচের প্রতি মুহূর্তে নামাওঠা প্রত্যক্ষ করেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ম্যাচ শেষে ব্যালকনিতে জার্সি উড়িয়েছিলেন আবেগপ্রবণ মহারাজ। অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের ঔদ্বত্যের জবাব দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বাবলম্বী করেছিলেন বিসিসসিআই সভাপতি। এই কাহিনী সবারই জানা। কিন্তু অজানা সে ম্যাচে ভারতীয় ড্রেসিংরুমের হাল। সে ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন ওই ভারতীয় দলের সদস্য তথা দেশের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক অজয় রাতরা।
ভারতীয় ড্রেসিংরুমে নিঃস্তব্ধতা
২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে ভারতের সামনে ৩২৬ রানের পাহাড় খাড়া করেছিল ইংল্যান্ড। এমন একটা সময়, যখন ৩০০-এর ওপর রান তাড়া করে জেতার সম্ভাবনা কার্যত অসম্ভব ছিল। তার ওপর একের পর এক ফাইনাল হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া টিম ইন্ডিয়ার কাছে এই ম্যাচ ছিল ডু অর ডাই গোছের। আরও এক ফাইনাল হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় হাফ টাইমে ভারতীয় ড্রেসিংরুম অদ্ভুত ভাবে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন অজয় রাতরা।
সমস্বরে সৌরভ-সচিন-দ্রাবিড়
রাতরা জানিয়েছেন, ওই কঠিন সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করতে সবার আগে উদ্যোগী হয়েছিলেন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর ও রাহুল দ্রাবিড় গলা মিলিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক। বলেছেন, সতীর্থদের চাপমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে বলেছিলেন সৌরভ-সচিন-দ্রাবিড়। তাতেই কাজ হাসিল হয়েছিল বলেও মনে করেন রাতরা।
শুরুটা দারুন হয়েছিল
ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন ওপেনার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে ১০৬ রানের পার্টনারশিপ হয়ছিল। ৪৩ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন মহারাজ। ৪৯ বলে ৪৫ রান করেছিলেন শেহওয়াগ।
মিডিল অর্ডারে ব্যাটিং ধস
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ আউট হওয়ার টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে ধস নেমে গিয়েছিল। পরপর সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন দীনেশ মোঙ্গিয়া (৯), রাহুল দ্রাবিড় (৫) ও সচিন তেন্ডুলকর (১৪)। তবু সেই ম্যাচ জিতেছিল ভারত।
কাইফ ও যুবরাজের জুটি
১৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ঠিক তখনই ক্রিজে নেমেছিলেন মহম্মদ কাইফ। প্রথম দিকের নড়বড়ে ভাব কাটিয়ে তিনি যুবরাজের সঙ্গে ১২১ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। ৬৩ বলে ৬৯ রান করেছিলেন যুবি। ৭৫ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন কাইফ।