মাত্র ১০ মাসের দায়িত্বই যথেষ্ট মহারাজের কাছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২০০০ সালে যখন ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন, তখন ম্যাচ ফিক্সিং-দুর্নীতিতে জর্জরিত ছিল দেশের ক্রিকেট। ততটা না হলেও ফের দুর্নীতির মেঘ ঘনাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে।
২০০০ সালে যখন ভারতের অধিনায়ক হয়েছিলেন, তখন ম্যাচ ফিক্সিং-দুর্নীতিতে জর্জরিত ছিল দেশের ক্রিকেট। ততটা না হলেও ফের দুর্নীতির মেঘ ঘনাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের আকাশে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই অবস্থায় দশ মাস হলেও বিসিসিআই-র সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিছু বদল তো আনবেনই বলে বিশ্বাস করেন দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
খেলা ছেড়ে প্রশাসক
খেলা ছেড়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি-র তৎকালীন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার হাত ধরে শুরু হয় মহারাজের সেকেন্ড ইনিংস।
২০১৫ সালে সিএবি সভাপতি
শুরুর দুই বছর সিএবি-র যুগ্ম সচিব পদে কাজ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে সিএবি-র সভাপতি থাকাকালীনই প্রয়াত হন বিসিসিআই ও আইসিসি-র প্রাক্তন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া। এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি বাছা হয়।
দ্বিতীয়বার নির্বাচিত সৌরভ
চলতি বছরেই দ্বিতীয়বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল বা সিএবি-র সভাপতি নির্বাচিত হন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে চার বছর কাটিয়ে দিলেন মহারাজ।
ছয় বছরের ব্যারিকেড
দুর্নীতি রোধে বিসিসিআই-র জন্য নতুন সংবিধান রচনা করে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। তাতে জানানো হয় যে দেশের কোন ক্রিকেট প্রশাসক এক টানা ছয় বছরের বেশি পদে বহাল থাকতে পারবেন না। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে এক টানা ছয় বছর কাটানো হয়ে যাবে। তাই এরপর তাঁকে বিশ্রামে পাঠানো হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ মাস বিসিসিআই-র সভাপতি থাকতে পারবেন মহারাজ। বোর্ডের খোলনোলচে পরিবর্তনের জন্য মহারাজের কাছে এই দশ মাসই যথেষ্ট বলে মনে করেন দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।