করোনা লকডাউনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার
করোনা লকডাউনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার
করোনার কারণে গৃহবন্দি বিশ্ব। এর মাঝে খেলার জগতের তারকারা ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে অণুপ্রাণিত করছেন। কিছুদিন আগেই এই লকডাউনে নিজেকে ফিট রাখতে ফিটনেস চর্চার ভিডিও পোস্ট করেন রোনাল্ডো। সেই সঙ্গে 'লিভিং রুম কাপ' নামের একটি চ্যালেঞ্জ সিরিজ চালু করেন। যেখানে লকডাউনের প্রতি সপ্তাহে রোনাল্ডো কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন। বাকিরা কীভাবে সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সেই নিয়ে মজার এই খেলা শুরু করেন রোনাল্ডো। ক্রিশ্চিয়ানোর এই চ্যালেঞ্জ নিলেন এবার এক ভারতীয় ক্রিকেটার।
জালা টাকার বাজার
নোট বাতিলের ঘোষণায় সবচেয়ে বড় যে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল জাল নোট চক্র প্রায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। এতদিন, বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকার ভুরি ভুরি জালনোট ঘোরাফেরা করছিল, কিন্তু নোট বাতিলের ঘোষণার পর তা প্রায় ধুয়ে মুছে গিয়েছে। যদিও আধিকারিকদের দাবি নোট বাতিলের জেরে এই সমস্যাকে শিকড় থেকে উপড়ে ফেলা যাবে না। ইতিমধ্যেই খবর রয়েছে নতুন নোটের জালিয়াতিও শুরু হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানে।
দেখে নিন রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ
ফিটনেস নিয়ে ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আলাদা মাত্রায় পাগলামি রয়েছে, সেটা সবারই জানা। লকডাউনে ফিটনেস নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে লিভিং রুম কাপের প্রথম সপ্তাহ চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সি আর সেভেন। ভিডিতে দেখা যায় রোনাল্ডো ৪৫ সেকেন্ডে ১৪২ বার রেপস (ক্রাঞ্চার্স) এক্সারসাইজটি করেন। এরপরই বিশ্বের প্রত্যেক ফিটনেস সচেতন মানুষকে ক্রিশ্চিয়ানো তাঁর রেকর্ডটি ভাঙার জন্যে চ্যালেঞ্জ আমন্ত্রণ জানান।
সন্ত্রাসবাদী সংগঠন
প্রাথমিক ভাবে শোনা যাচ্ছিল নোট বাতিলের জেরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি টাকার সমস্যায় পড়েছে। তাদের তহবিল প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদতে ততটা সমস্যাও হয়নি।
সূত্রের খবর, যারা পাকিস্তান থেকে কাজ চালাচ্ছে তাদের কাছে ভারতীয় মুদ্রার উপর নির্ভরশীল হওয়ার মাত্রা খুবই কম।
বহু মানুষ এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেন
এবার এক সপ্তাহ পর সেই সেই চ্যালেঞ্চে কারা অংশ নিলেন সেই নিয়ে ভিডিও বানানো হয়েছে। কয়েক মিলিয়ে ভক্ত রোনাল্ডোর চ্যালঞ্জটিতে অংশ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছেন বলে জানানো হয়। শুধু খেলার জগতের মানুষরাই নয়,খেলার জগতের বাইরে সাধারণ মানুষ, কিডসরা এই রেপস এক্সারসাইজ চ্যালেঞ্জটি নেয়। পরের সপ্তাহে রোনাল্ডো আরও একটি চ্যালঞ্জ নিয়ে এই লকডাউনে ফ্যানেদের সামনে আসবেন বলে জানানা হয়েছে।
মাদক পাচারকারী
তবে ভারতের ড্রাগ পাচারকারী বা মাদক মাফিয়ারা সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে সমস্যায় পড়েছে। কারণ নতুন নোটের অভাবে মাদকের বেচাকেনা অনেকটাই কমেছে। এখনও এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেনি মাদক মাফিয়ারা।
এবার চ্যালেঞ্জ নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার
ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এবার রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। ইনস্টাগ্রাম স্টেটাসে, এদিন রোনাল্ডোর মতো ক্রাঞ্চার্স এক্সারসাইজটি ঝালিয়ে নেওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছেন রায়না। ভিডিওটি পোস্ট করে স্টে এট হোম লিখেছেন রায়না।
কালো টাকা
নোট বাতিলের মূল লক্ষ্যই ছিল কালো টাকা নিয়ন্ত্রন করা। যদিও এই সিদ্ধান্তের জেরে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি সরকার কতটা পৌঁছতে পেরেছে তা অবশ্যই তর্ক সাপেক্ষ।
তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, অল্প পরিমান কালো টাকার অধিকারীরা স্ক্যানারে এসেছে। কিন্তু আসল সমস্যাটা হল যারা বিশাল পরিমাণ কালো টাকার অধিকারী তাদের নিয়ে।
আর এই বিশাল পরিমাণ কালোটারা অধিকাংশই বিদেশে জমিয়ে রাখা আছে। সেক্ষেত্রে নোট বাতিল দিয়ে কালো টাকা উদ্ধারে কোনও লাভ হওয়ার কথা নয়। হয়ওনি। আগামী দিনেও শুধু মাত্র নোট বাতিলের ঘোষণা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভবও হবে না।
লকডাউনে ফিটনেস সচেতন সুরেশ
উল্লেখ্য এর আগে লকডাউনে রান্নাঘরে মাকে সাহায্য করার ছবি পোস্ট করেছিলেন। পরে নিজে রান্না করা ছবি পোস্ট করেন। এবার বাড়িতেই ব্যক্তিগত জিমে ফিটনেস চর্চার ছবি পোস্ট করলেন রায়না।
অর্থনীতি
বাজারে ঘুরপাক খাওয়া মোট টাকার মধ্যে ৮৬ শতাংশ টাকাই পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ছিল। সেই জায়গা নতুন নোট দখল করছে খুবই মন্থর গতিতে।
ব্যাঙ্কগুলি এখনও নোট সঙ্কটে ভুগছে। সরকারের কাছে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা না তোলার আকুতি করছে। বাজার থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার পুরনো নোট ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ সেই জায়গায় ৬.৫ লক্ষ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে। চাহিদা ও জোগানের যে মূল সমস্যা প্রথম থেকে চলছিল তার পরিমাণ মাইক্রো মিলি শতাংশ কমেছে হয়তো, তবে তা যথেষ্ট নয় কোনওভাবেই। এই অসামঞ্জস্যের জেরে ভোগান্তি আরও কিছুদিন চলবে।
এটিএম
নোট বাতিলের পর থেকে এটিএমগুলিও একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অধিকাংশ এটিএম কাজ করছিল না, যেগুলি কাজ করছিল তাতে লম্বা লাইন। পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা ঠিক হলেও সমস্যা এখনও প্রবল।
দেশের ২,০০,০০০ এটিএমের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ এখনও কাজ করছে না অধিকাংশ সময়। ফলে টাকা তোলা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও।
ডিজিটাল পেমেন্ট
সরকার ক্যাশলেস লেনদেন বা ডিডিটাল পেমেন্টে জোর দিচ্ছে। কিন্তু আজও দেশের মধ্যে এমন বহু এলাকা রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, ইন্টারনেটের নামও শোনেননি অনেকে, হাতে স্মার্ট ফোন থাকা দুরস্ত মোবাইব ফোনের সুবিধা নেই, ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত নেই, তাদের সমস্যা নোটবাতিলের পর থেকে বেরেছে বই কমেনি। পরিস্থিতি এখনও একই।
বেতন
বেতন, পেনশনও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫৬০ মিলিয়ন মানুষ যারা কারখানায় কাজ করে যাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে। অর্থাৎ মাত্র ১০ শতাংশ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বেতন পান। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে এখনও সময় কাটাচ্ছে।