মালিঙ্গার মতো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ঘন্টায় ১৭৫ কিমি গতিতে বোলিং, বিশ্বকাপে আশ্চর্য প্রতিভা
মালিঙ্গার মতো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ঘন্টায় ১৭৫ কিমি গতিতে বোলিং, বিশ্বকাপে আশ্চর্য প্রতিভা
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর। রবিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অভিযান শুরু করল ভারত। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জুনিয়র দলকে ৯০ রান উড়িয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার অনূর্ধ্ব-১৯ , বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দাগ কাটতে না পারলেও, ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে নজর কাড়লেন মালিঙ্গার মতো বোলিং অ্যাকশনের জুনিয়ার ক্রিকেটার।
|
ঘন্টায় ১৭৫ কিমি গতিতে বোলিং
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার মাথিস পাতিরানার বোলিং অ্যাকসনে মালিঙ্গার প্রভাব রয়েছে। শ্রীলঙ্কা দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো লাসিথ মালিঙ্গার মতো বোলিং স্টাইলে ইতিমধ্যেই নজরে এসেছেন এই পেসার।
এখানেই শেষ নয় ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচে ব্রু-ব্রিগেডের ব্যাটিংয়ের চতুর্থ ওভারে ওপেনার যশশ্বী জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে ঘন্টায় ১৭৫ কিমি গতিতে বল করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন।
স্পিডোমিটারে মাথিস পাতিরানার ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিটি ঘন্টায় ১৭৫ কিমিতে ছিল বলে ধরা পড়ে। বলটি যদিও যশশ্বীর মাথার অনেকটা উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। যেকারণে সেটি আম্পায়ার হোয়াইড ডাকেন।
৮ ওভার বল করে মাথিস পাতিরানা ৪৯ রান খরচ করেছেন।যদিও কোনও উইকেট পাননি। বিশ্বকাপের এই ডেলিভারি নিয়ে স্পিডোমিটারে কোনও ক্রুটি রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।আইসিসি'র পক্ষ থেকে অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য় করা হয়নি।
|
ভারতের ম্যাচ জয়
প্রসঙ্গত প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ২৯৭ রান তোলে। জবাবে এই রান তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ২০৭ রানে অলআউট হয়। ভারত ৯০ রানে ম্যাচ যেতে।
|
অতীতেও কেন শিরোনামে এসেছিলেন
এর আগে গত বছর স্টেপ্টেম্বরে ক্যান্ডিতে ত্রিনিটি কলেজের হয়ে এক ম্যাচে ৭ রান খরচ করে ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। একের পর এক ইয়র্কারে উইকেট ছিটকে দিয়ে মাথিস পাতিরানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন।
একনজরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারি
১)
পাকিস্তানের,
শোয়েব
আখতার,
২০০৩
সালে
ইংল্যান্ডের
বিরুদ্ধে
ঘন্টায়
১৬১.৩কিমি
গতিতে
বোলিং
করেছিলেন।
২)
২০১০
সালে
এরপর
অস্ট্রেলিয়ার
শন
টেট,
২০১০
সালে
ইংল্যান্ডের
বিরুদ্ধে
ঘন্টায়
১৬১.১
কিমি
গতিতে
বোলিং
করেছিলেন।
৩)
২০০৫
সালে
নিউজিল্যান্ডের
বিরুদ্ধে
অস্ট্রেলিয়ার
ব্রেট
লি
ঘন্টায়
১৬১.১
কিমি
গতিতে
বোলিং
করেন।