এগিয়ে পন্টিং, সবচেয়ে অবদমিত কিউইরা! ভারতকে হারিয়ে সিডনিতে হাজারের ইতিহাস অস্ট্রেলিয়ার
ভারতের বিরুদ্ধে সিডনিতে একদিনের ম্যাচে জয়ের ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম দেশ হিসেবে সব ফর্ম্যাট নিলিয়ে ১,০০০ টি ম্যাচ জিতল অস্ট্রেলিয়া।
সিডনিতে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে এক বিরল রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দেশ হিসেবে সিডনিতে তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব ফর্ম্যাটের ম্য়াচ মিলিয়ে ১০০০তম জয় পেল। এর আগে গত ডিসেম্বরে পার্থ টেস্টে তারা ৯৯৯তম জয় রেয়েছিল। পরের জয়টি পেতে কিন্তু তাদের বেশ কিছুদিন অপেক্ষা কতরতে হল।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তারপর সিডনি টেস্ট ড্র হয়। ফলে শনিবার সিডনিতে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্য়াচটিতেই তাদের ১০০০ ম্য়াচ জয়ের পরের সুযোগটি ছিল। আর তাকে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ভারতকে ৩৪ রানে হারিয়েছে ফিঞ্চ-বাহিনী। ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বাকি দেশ গুলি অজিদের থেকে অনেক পিছনে রয়েছে। ইংল্যান্ড (৭৭৪), ভারত (৭১০) ও পাকিস্তান (৭০২)।
দেখে নেওয়া যাক অস্ট্রেলিয়ার এই বিশাল মাপের জয়ের রেকর্ডে লুকিয়ে থাকা কিছু মজাদার পরিসংখ্য়ান।
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে
একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে সব দেশের আগে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই ফর্ম্য়াটে এদিনের ম্য়াচ নিয়ে তাদের জয়ের সংখ্যা ৫৫৮।
টেস্ট ক্রিকেটে
লাল বলের ক্রিকেটেও জয়ের ক্ষেত্রে সবার আগে অস্ট্রেলিয়া। পার্থ টেস্টের পর তাদের জয়ের সংখ্যা ৩৮৪।
সবচেয়ে অবদমিত নিউজিল্যান্ড
প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারুদের জয়ের হার ৬৬ শতাংশ!
রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট
অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ের পরিসংখ্যানের সিংহভাগ কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন রিকি পন্টিং। খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে তিনি ৩৭৬টি ম্য়াচ জিতেছেন। এই ব্যাপারে তিনি সব অজি ক্রিকেটারের থেকে এগিয়ে। াবার অধিনায়ক হিসেবেও ২১৯টি ম্য়াচ জিতে বাকি অস্ট্রেলিয় অধিনায়কদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। তবে ২০টির বেশি ম্য়াচে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়কদের জয়ের হারে কিন্তু সবার আগে আছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৬৮ শতাংশ)।
সবচেয়ে বড় জয়
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়টি পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২০০২ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে ১ ইনিংস ও ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল স্টিভ ওয়া-র অস্ট্রেলিয়া। সাত নম্বরে নেমে গিলক্রিস্ট ২০৪* রান করেছিলেন।