ফিরে দেখা ২০১৮: নাথান লিয়ন থেকে কুলদীপ - বছরের সেরা ৫ বোলার
এক নজরে ফিরে দেখা ২০১৮ সালের সেরা ৫ বোলারদের।
২০১৮ সালটা বোলারদের জন্য জন্য দুর্দান্ত গিয়েছে। গত কয়েক বছর ব্য়াটসম্য়ানদের দাপটে কোনঠাসা হয়ে থাকার পর এই বছর দারুণ কিছু পারফরম্যান্স বেরিয়েছে বোলারদের হাত থেকে, যার দৌলতে জয়ী হয়েছে তাদের দল। বোলারদের দাপটে এই বছর মাত্র ৫বার কোনও দল ৬০০ রানের ইনিংস গড়েছে। ইংল্যান্ডই একমাত্র ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে ৭০০ রান তুলতে পেরেছিল।
৫০০ থেকে ৬০০-এর মধ্যে ইনিংস হয়েছে মাত্র ২বার। গত একবছরে যে ৩২টি টেস্ট খেলা হয়েছে তার মধ্যে ২০টি টেস্টে কোনও এক দলের বোলাররা প্রতিপক্ষের ২০ টি উইকেটই তুলে নিয়েছেন। আর ২৬টি ক্ষেত্রে পেয়েছেন ১৫ বা তার বেশি উইকেট। এইসব পরিসংখ্যান থেকে বোঝাই যাচ্ছে ২০১৮ সালটি ছিল বোলারদের বছর। তবে শুধু টেস্টেই নয়, সীমিত ওভারের ত্রিকেটেও এই বছর দাপট দেখিয়েছেন বোলাররা।
মাইখেল বেঙ্গলি এখানে এই বছরের সেরা ৫ বোলারকে বেছে নিল।
নাথান লিয়ন
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বছর ভর অসাধারণ পারফর্ম করেছেন তাদের প্রধান স্পিনার। পার্থ টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ঘরে-বাইরে সমান কার্যকরি ছিলেন লিয়ন।
টেস্ট -৯, উইকেট-৪৮, গড়- ৩২.০৮, ইকোনমি-২.৭৫
কুলদীপ যাদব
টেস্টে এখনও সেভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলেও সাদা বলের ক্রিকেটে এখনই কূলদীপকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা 'মেন ইন ব্লু'-এর সাফল্যের এক্স ফ্যাক্ট বলে দিচ্ছেন। এই বছর এই চায়নাম্যান বোলার ১৯টি একদিনের ম্য়াচে ৪৫টি উইকেট নিয়েছেন। সেরা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৫-৬। আর ৯টি টি২০আই খেলে পেয়েছেন ২১টি উইকেট, সেরা ২৪-৫।
কাগিসো রাবাদা
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সব সংস্করণে সাফল্য পাওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তাদের এই জোরে বোলারের। তবে রাবাদা বেশি ভয়ঙ্কর লাল বলেই। ৯টি টেস্ট খেলে এই বছর তিনি ২০.৩৯গড়ে ৪৬ উইকেট নিয়েছেন। আর ১৪টি একদিনের ম্য়াচে তাঁর শিকার ২৩টি উইকেট। ইকোনমি রেট ৪.৮৭ ও গড় ৩২।
ইয়াসির শাহ
৮২ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে এই বছর পাক লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ টেস্টে দ্রুততম (৩৩ ম্য়াচে) ২০০ উইকেট শিকারীর রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। মাত্র ৫টি টেস্টেই তিনি এই বছর ৩৭ টি উইকেট নিয়েছেন। আরও বেশি খেললে উইকেট সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
মহম্মদ শামি
মাঠের বাইরে এই বছরটা ভাল যায়নি বাংলার পেসারের। কিন্তু মাঠের ভেতর সোনা ফলিয়েছেন তিনি। ১১টি টেস্টে তিনি ৪৪ উইকেট দখল করেছেন। যার মধ্যে বিদেশের মাঠে ১০টি টেস্টে ৪৪ উইকেট নিয়ে এই বছর তিনি বিদেশের মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়া বোলার হয়েছেন।
বিশেষ উল্লেখযোগ্য - রশিদ খান
এই
আফগান
লেগ
স্পিনারকে
এই
তালিকায়
রাখা
না
গেলেও
তাঁর
কথা
উল্লেখ
না
করলে
তালিকা
অসম্পূর্ণ
থাকবে।
এই
বছর
একদিনের
ম্য়াচে
সর্বোচ্চ
উইকেট
নিয়েছেন
তিনি।
২০টি
ওডিআই
খেলে
৪৮
উইকেট
নিয়েছেন
তিনি।
পাশাপাশি
মাত্র
৮টি
টি২০আই
খেলেই
শিকার
করেছেন
২২টি
উইকেট।
এশিয়া
কাপে,
ভারত,
পাকিস্তান,
বাংলাদেশ,
শ্রীলঙ্কার
মতো
বড়
দলের
ব্য়াটসম্য়ানরাও
তাঁর
বল
খেলতে
সমস্যায়
পড়েছেন।