ক্রিকেট খেলে কোটি কোটি টাকা আয় জসপ্রীত বুমরাহের কিন্তু তার দাদু পেট চালাতে অটো চালান
এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু কীভাব তাঁর দাদু সংসার চালিয়েছন জেনে নিন সেই লড়াইয়ের কাহিনী
জসপ্রীত বুমরাহ, এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। তাঁর স্পিডে মাত বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। ২৩ বছরের স্পিডস্টার কোথা থেকে এত আগুন আনেন জানেন। এ এমন এক কাহিনী যা আপনাকে যেমন মোটিভেট করবে, ঠিক তেমনিই আপনার ইচ্ছা করবে যে ব্যক্তি বুমরাহের পিছনে রয়েছেন তাঁকে কুর্নিশ করতে।
এই মুহূর্তে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের তালিকার দু নম্বরে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। নাতি যখন দেশ বিদেশের মাটিতে ছুটে চলেছেন, তখন উত্তরাখন্ডে-র উধম সিং নগরে অটো চালাচ্ছেন তাঁর দাদু সান্তোক সিং বুমরাহ। কিন্তু তাঁদের এরকম অবস্থা ছিল না। জসপ্রীত বুমরাহের বাবা-র হঠাৎ মৃত্যুতে গোটা পরিবারের ভিত নড়ে যায়। আহমেদাবাদ তিনটি ফ্যাক্টরি ছিল বুমরাহ পরিবারের। কিন্তু ছেলের অপমৃত্যুতে ভেঙে পড়েন বুমরাহের দাদু।
এই সময়ে তাঁদের ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। লোন শোধ করতে তাদের সেই ফ্যাক্টরি গুলিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই ২০০৬ সালে উত্তরপ্রদেশের উধম সিং নগরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন সান্তোক সিং বুমরাহ। এখানে এসে তিনি চারটি গাড়ি কেনেন। ভেবেছিলেন আবার ব্যবসা শুরু করবেন। কিন্তু এবারও কপাল সঙ্গে ছিল না। ফের ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। চারটি গাড়ির তিনটিই বেচে দিতে হয় তাঁকে। এখনও নিজের অটো নিজেই চালান এই অশীতিপর বৃদ্ধ।
নাতি কবে ঘরে ফিরবে তাঁর জন্য মুখিয়ে বসে থাকেন সান্তোক সিং বুমরাহ। নাতি ম্যাচ খেললে কখনও তা মিসও করেননা তাঁর দাদু। সান্তোকের মতে নাতি ঘরে ফিরলেই তাঁকে জড়িয়ে ধরবেন তিনি। দাদুর এই লড়াই জসপ্রীত বুমরাহকে আরও মোটিভেট করে মাঠে নিজের সেরাটা বার করে আনতে। যাতে দলের কাজে লাগতে পারে তাঁর উপস্থিতি।