২০০০-র কুখ্যাত ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে ভারতে প্রত্যার্পণ
২০০০-র কুখ্যাত ম্যাচ ফিক্সিং-র মূল অভিযুক্তকে ভারতে প্রত্যার্পণ
২০০০-র কুখ্যাত ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সিং-র মূল অভিযুক্ত তথা বুকি সঞ্জীব চাওলাকে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আনা হল। বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ বিমানে তাকে ব্রিটেন থেকে নয়াদিল্লিতে আনা হয়েছে। ৫০ বছরের সঞ্জীবকে তিহার জেলে রাখা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
২০০০-র ম্যাচ ফিক্সিং
ভারতে ক্রিকেট খেলতে এসেছিল হ্যান্সি ক্রোনিয়ে নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সেই টেস্ট সিরিজে ম্যাচ ফিক্সিং-র অভিযোগ তোলে দিল্লি পুলিশ। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ভারতীয় ক্রিকেট দলের তৎকালীন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন, দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকর। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার নিকি বোয়ে, হার্শাল গিবসও দোষী প্রমাণিত হন। শাস্তির মুখে পড়তে হয় এই ক্রিকেটারদের। মহম্মদ আজহারউদ্দিন, হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকরকে আজীবন নির্বাসনে পাঠানো হয়।
|
লন্ডনে গ্রেফতার
ঘটনার মূল অভিযুক্ত তথা বুকি সঞ্জীব চাওলাকে লন্ডনে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ভারতে প্রত্যার্পণের জন্য ইংল্যান্ড সরকারের কাছে আবেদন করা হচ্ছিল। অবশেষে সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে ব্রিটেনের আদালত।
মানবাধিকার কমিশনের ইউরোপিয়ান আদালত
২০০০-র ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জীব চাওলার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় মানবাধিকার কমিশনের ইউরোপিয়ান আদালত। গত ১৬ জানুয়ারি হওয়া শুনানিতে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতেও অস্বীকার করে ওই আদালত। ফলে ২৩ জানুয়ারি ব্রিটেনের আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী সঞ্জীব চাওলাকে ২৮ দিনের মধ্যে ভারতে প্রত্যার্পণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রথম সফল প্রত্যার্পণ
১৯৯২ সালে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তারপর থেকে সঞ্জীব চাওলাই প্রথম ব্যক্তি, যাঁকে সফলভাবে ব্রিটেন থেকে ভারতে আনা হল। এর আগে ২০০২-র গুজরাত দাঙ্গার অন্যতম মাস্টার মাইন্ড সমীরভাই ভিনুভাই প্য়াটেলের ইংল্যান্ড থেকে ভারতে প্রত্যার্পণ ঘটেছিল ২০১৬ সালে। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত স্বেচ্ছায় ভারতে ফিরেছিল বলে জানানো হয়।