'আবে কালে...' চরম বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যে বিপাকে পাক অধিনায়ক! নামলেন চিড়ে ভেজানোর মরিয়া চেষ্টায়
বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য টুইটারে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শোয়েব আখতারের এর জন্য তাঁকে একহাত নিলেন, আর পিসিবি বলেছে দুর্ভাগ্যজনক।
টুইটারে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান একদিনের ম্য়াচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীন তিনি চরম বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অলরাউন্ডার আন্দিল ফেহলুকাওয়িও-কে উদ্দেশ্য করে। তার সবটাই স্টাম্প ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়। এরপরই চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।
সমগ্র ক্রিকেট বিশ্ব পাকিস্তানি অধিনায়কের ওই আচরণের সমালোচনা করেছে। এমনকি বাছা বাছা সমালোচনা এসেছে তাঁর নিজের দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছ থেকেই। চাপের মুখে তিনি ক্ষমা চাইলেও এদিনও তাঁর নিন্দায় মুখর হয়েছেন প্রাক্তন পাক জোরে বোলার শোয়েব আখতার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য ঘটনাটি 'দুর্ভাগ্যজনক' বলেই দায় সেরেছে।
হৃত্বিক রোশন
সিনেমার 'অ-আ-ক-খ' জানতে গিয়ে ঘর মোছা থেকে শুরু করেছেন হৃত্বিক রোশন। এরপরে ক্যামেরা, পরিচালনা ও সম্পাদনা শিখেছেন। কোয়লা, করণ অর্জুন-এর মতো সিনেমায় বাবা রাকেশ রোশনের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।
কি ঘটেছিল?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাকিস্তান একদিনের ম্য়াচের সিরিজ খেলছে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের রান তাড়া করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টানটান ম্যাচে ৩৭তম ওভারে ব্যাট করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অলরাউন্ডার আন্দিল ফেহলুকাওয়িও। স্টাম্পের পিছন থেকে সরফরাজ তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ করেন। স্টাম্প মাইকে শোনা যায় তিনি বলছেন, 'আবে কালে, তেরি আম্মি আজ কাঁহা বৈঠি হ্যায়? কেয়া পরওয়া কে আয়ে হ্যায় আজ?'
ইমরান হাসমি
নায়ক হিসাবে সিনেমা শুরুর আগে ২০০২ সালে 'রাজ' সিনেমায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেন ইমরান। তখন কি আর জানতেন, এই সিনেমার পরের সিকোয়েলে নায়ক হবেন তিনিই!
বিপাকে সরফরাজ
তাঁর ওই মন্তব্য মাইকে ধরা পড়তেই বিপাকে পড়েছেন সরফরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা টিম ম্যানেজার মহম্মদ মুসাজি জানিয়েছেন, বিষয়টি আইসিসি ও ম্য়াচ অফিশিয়ালরা নোট করেছেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে তার ফলাফল জানতে পারলে তবেই এই বিষয় নিয়ে তাঁরা বিবৃতি দেবেন বলেছেন মুসাজি।
রণবীর কাপুর
সঞ্জয় লীলা বনশালীর অন্যতম সেরা সিনেমা 'ব্ল্য়াক'-এ সহায়ক হিসাবে কাজ করেন রণবীর কাপুর।
ক্ষমা প্রার্থনা
বিপদ বুঝেই বহস্পতিবার টুইটারে সরফরাজ ৩টি পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে ওই কথা বলতে চাননি। এমনকি মন থেকেও বলেননি সেই সব। খারাপ কথাগুলি ছিল তাঁর একান্তই তাঁর হতাশার বহিঃপ্রকাশ। তিনি জানিয়েছেও অতীতেও তাঁর প্রতিপক্ষ দল ও তাঁর ক্রিকেটার দের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
করণ জোহরের পরিচালনায় শাহরুখ খান ও কাজল অভিনীত সুপারহিট সিনেমা 'মাই নেম ইজ খান'-এ পর্দার পিছনের কুশীলবদের একজন ছিলেন সিদ্ধার্থ।
একহাত নিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস
ক্রিকেট মাঠে 'ব্য়াডবয়' ইমেজ ছিল রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতারের। তিনিও কিন্তু সরফরাজের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর মতে সম্ভবত, পরিস্থিতি উত্তেজনায় পাক অধিনায়ক ওই মন্তব্য করে ফেলেছেন। কিন্তু তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে অধিনায়কের মুখ থেকে এমন বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য আসায়, প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আখতার।
বরুণ ধাওয়ান
'মাই নেম ইজ খান' সিনেমাতেই সিনেমার একজন অ্যাসিস্ট্য়ান্ট হিসাবে কাজ করেন বরুণ ধাওয়ানও।
পিসিবির প্রতিক্রিয়া
দুটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাক বোর্ড গোটা ঘটনাটিকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলেছে। তারা অধিনায়কের মন্তব্যগুলিকে সমর্থন করে না। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে তারা শূন্য-সহনশীলতা নীতি নিয়ে চলে। তবে এই ঘটনার ফলে ক্রিকেটারদের শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছে বলে পিসিবির দাবি। এই বিষয়ে তাদের তরফ থেকে নয়া কর্মসূচী নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে।
সোনম কাপুর
সোনম কাপুরও রণবীর কাপুরের মতো সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমা 'ব্ল্য়াক'-এ সহায়ক হিসাবে কাজ করেন। পরে রানি মুখার্জীর কথায় 'সাঁওরিয়া' সিনেমায় সোনমকে ব্রেক দেন বনশালী।
অর্জুন কাপুর
সলমন খানের বড় ভক্ত অর্জুন কাপুর 'সালাম-ই-ইসক' সিনেমায় সহযোগী হিসাবে কাজ করেন।
শাহিদ কাপুর
কোরিওগ্রাফার শ্যামক দাভরের ডান্স ইনস্টিটিউটের ছাত্র হিসাবে 'দিল তো পাগল হ্যায়', 'তাল' ইত্য়াদি সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসাবে কাজ করেন শাহিদ।
ডেইসি শাহ
কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে 'জমিন', 'খাকী' ইত্যাদি সিনেমায় কাজ করেন ডেইসি। পরে সলমন খানের বিপরীতে 'জয় হো' সিনেমায় ব্রেক পান তিনি।
রেমো ডি'সুজা
কোরিওগ্রাফার আহমেদ খানের সহযোগী হিসাবে উর্মিলা মাতন্ডকরের 'রঙ্গিলা রে' গানে কাজ করে ব্রেক পান রেমো।
কুনাল কাপুর
অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসাবে কাজ শুরু করে পরে পুরোপুরি অভিনয়ে চলে আসেন কুনাল।
সরফরাজের চিড়ে ভেজানোর এই মরিয়া চেষ্টা কতটা কার্যকর হয় সেটাই এখন দেখার।