মানসিক অবসাদে নিজেকে গুলি করে শেষ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন প্রবীণ কুমার
মানসিক অবসাদে নিজেকে গুলি করে শেষ করে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন প্রবীণ কুমার
ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। গত বছর অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এরপর ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ নিয়ে কথা ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজের কঠিন সময়ের কথা বলেছেন। এবার অবসাদ নিয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রবীণ কুমার।
মানসিক অবসাদ নিয়ে কী বলেছেন প্রবীণ
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীণ বলেছেন, 'ক্রিকেট থেকে হঠাৎই হারিয়ে গেলাম। কেন হারিয়ে গেলাম, ৮ বছর ধরে সেই উত্তর খুঁজছি। ক্রিকেটার হিসেবে মানুষ আর আমায় মনে রাখেনি। দীর্ঘদিন ধরে নিজের সঙ্গে নিজের লডা়ই চলেছে। অনেক চেষ্টা করেও আর ক্রিকেটে ফেরা হয়নি। এতেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পরি। যারপর নিজেকে শেষ করে দেওয়া ছাড়়া কোনও উপায় মাথায় আসেনি।
সেই সাক্ষাৎকারে একসময়ে ভারতীয় দলের সুইং মাস্টার বলেছেন, ক্রিকেট থেকে এই বাদ পড়াই অবসাদের কারণ। এভাবে ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রোধ হয়। একাকিত্ব কুড়ে কুড়ে খেতে শুরু করে।
প্রবীণ আরও যা বলেন
এখানেই না থেমে, প্রবীণ আরও জুড়েছেন, মাস খানেক আগে পরিবার যখন ঘুমাচ্ছিল। গলায় একটা মাফলার জড়িয়ে, বন্দুক হাতে নিয়ে বেরিয়ে পরেছিলাম। এরপর এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে নিজের সঙ্গে কথা বলি। নিজেকে বুঝিয়ে বলি, এই জীবন আর রেখে কোনও লাভ নাই ।
এরপর গাড়িতে সন্তানের মিষ্টি হাসির ছবি দেখে মনে হয়, এভাবে ওকে ফেলে চলে যাওয়া ঠিক নয়। এতেই সিদ্ধান্ত বদল করি, এবং নিজের কাউন্সিলিং করাই।
নিজের এই ঘটনা শেয়ার করার পর প্রবীণ বলেছেন, ভারতে অবসাদ নিয়ে কেউ ভাবে না। লোকে অবসাদ নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়। প্রয়োজনে আমার মতো কাউন্সিং করানো উচিত।
দেশের হয়ে প্রবীণের বোলিং পারফর্ম্যান্স
উল্লেখ্য দেশের হয়ে সীমিত ওভারে ৬৮টি ওডিআই ও ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন প্রবীণ। দুই ফর্ম্যাটে যথাক্রমে ৭৭ ও ৮টি উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া দেশের হয়ে ৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে প্রবীণের ঝুলিতে ২৭টি উইকেট রয়েছে।
শেষ ম্যাচ কবে খেলেন
দেশের হয়ে শেষবার ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলছিলেন। অন্যদিকে ২০১৭ সালে গুজরাত লায়ন্সের হয়ে শেষ আইপিএল ম্যাচ খেলেন।