এমএস ধোনির বিমর্ষ মুখ দেখে লড়াই শুরু করেছিলেন সুরেশ রায়না, তাতেই সাফল্য
এমএস ধোনির বিমর্ষ মুখ দেখে লড়াই শুরু করেছিলেন সুরেশ রায়না, তাতেই সাফল্য
২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখেমুখে লেগে রয়েছে সেই ম্যাচ। সেদিন ব্যাট করতে নামার আগে কোন দুটি ঘটনা তাঁকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল, জানিয়েছেন রায়না।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক রিকি পন্টিং-এর দুর্দান্ত শতরানের সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান তুলেছিল অজিরা। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে গিয়েছিল ভারত।
যুবি ও রায়নার পার্টনারশিপ
সচিন তেন্ডুলকর (৫৩) ও গৌতম গম্ভীরের (৫০) অর্ধশতরান সত্ত্বেও ম্যাচের একটা সময় ১৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। ৭ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক এমএস ধোনি। এরপর ব্যাট করতে নামা সুরেশ রায়না এবং যুবরাজ সিং-এর মধ্যে হওয়া ৭৪ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিল। ৫৭ রান করেছিলেন যুবরাজ সিং। ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন সুরেশ রায়না।
সাঁই বাবার আশীর্বাদ
সুরেশ রায়না বলেছেন, ওই ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিংরুমে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ তাঁর একদিকে বসেছিলেন। অন্যদিকে বসেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। রায়না জানিয়েছেন, তাঁর পিঠে তিন বার হাত বুলিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছিলেন, 'যাও, এই ম্যাচ তুমিই জেতাবে'। সেদিন সাঁই বাবার ব্রেসলেট পড়েছিলেন সচিন। সেই ঈশ্বরের আশীর্বাদই সেদিন তাঁর ওপর কাজ করেছিল বলে মনে করেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান।
ধোনির বিমর্ষ মুখ
২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর পরেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন সুরেশ রায়না। আউট হয়ে ফিরে আসার সময় সেদিন তিনি ধোনির বিমর্ষ মুখ দেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন রায়না। তা দেখেই তিনি ভালো খেলার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন বলে দাবি বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের।
করোনা লকডাউনে ধোনির মাথা খারাপ! ঘুমের ঘোরে মোবাইল গেমে মত্ত মাহি! অভিযোগ সাক্ষীর