কমনওয়েলথে নয় সৌম্যজিৎ, যা বলছে সর্বভারতীয় ফেডারেশন
কমনওয়েলথ বার্থ মিস করতে চলেছেন সৌম্যজিৎ ঘোষ জানাল সর্বভারতীয় টিটি অ্যাসোসিয়েশান
কমনওয়েলথ গেমস টিটি দল থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে সৌম্যজিৎ ঘোষ। শিলিগুড়ির সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তাও আবার পকসো আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এরপরেই টেবলটেনিস ফেডারেশন নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করেছে।
সৌমজ্যিতের পরিবর্ত হিসেবে সানিল শেট্টির নাম ভাবা হয়েছে। দু দিন আগে থেকে সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেন নিগৃহীত মহিলা। ইতিমধ্যেই এদিন গোপন জবানবন্দী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জমা দিয়েছেন সেই মহিলা।
বারাসতে
সৌম্যজিতের
বিরুদ্ধে
মামলা
দায়ের
করা
হয়েছে।
টিটি
ফেডারেশনের
সচিব
এমপি
সিং
জানিয়েছেন
সমস্ত
রিপোর্ট
তারা
পেয়েছেন,
ফলে
আপাতত
সাসপেন্ড
করা
হতে
চলেছে
সৌম্যজিৎকে।
যতক্ষণ
না
তাঁর
বিরুদ্ধে
ওঠা
সব
অভিযোগ
মিথ্যা
প্রমাণিত
হচ্ছে
ততক্ষণ
তিনি
নির্বাসিত
থাকবেন।
এই
মুহূর্তে
সৌম্যজিৎ
টুর্নামেন্ট
খেলতে
বাইরে
রয়েছেন
তবে
২৬
মার্চ
দিল্লিতে
ডোপ
টেস্ট
হওয়ার
কথা।
সেদিনই
গ্রেফতার
হয়ে
যেতে
পারেন
তিনি।
এই অবস্থায় কমনওয়েলথে কোনওভাবেই তাঁর প্রতিনিধিত্ব করা সম্ভব নয়। এরফলে পরিবর্ত খেলোয়াড়কে কীভাবে নিয়ম মেনে ঢোকানো যায় সেই ভাবনায় সংস্থা।
এদিকে নির্বাসিত হয়ে গেলে আর কোনও টুর্নামেন্টেই খেলতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি তিনি চাকরিও খোয়াবেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগের ওঠা ছাড়াও নাবালিকাকে দিয়ে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সে সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই মহিলা।
একদিন আগেই শুরু হয় সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে এই তদন্ত। অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরেই অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা সৌম্যজিত ঘোষ। বিশ্বে এই মুহূর্তে তাঁর স্থান ৬৭-এ।
তরুণীর পরিবারের দাবি, ২০১৫-তে ফেসবুকের মাধ্যমে সৌম্যজিতের সঙ্গে পরিচয় হয় সেই সময়ের নাবালিকার। সেই সময় নাবালিকাও টেবল টেনিস খেলায় দুজনের পরিচয় গভীর হয়। এমন কী সৌম্যজিতের বাঘাযতীনের ফ্ল্যাটে যাতায়াতও ছিল বারাসতের ওই নাবালিকার।
মেয়ে সাবালক হওয়ার পর একাধিকবার তরুণীর পরিবারের তরফে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সৌম্যজিতের পরিবারের তরফে অনিচ্ছার কথা জানানো হয় বলে অভিযোগ। এমন কী ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঘাযতীনের ফ্ল্যাটে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় ঘোষ পরিবারের তরফে ইনোভা গাড়ি দাবি করা হয়েছিল। যদিও এরই মধ্যে বিয়ের যৌতুক হিসেবে হুগলির সিমলাগড়ের একটি জমি যৌতুক হিসেবে সৌম্যজিতের নামে দেওয়া হয় বলে দাবি তরুণীর পরিবারের। একইসঙ্গে কিছু সোনার গয়নাও দেওয়া হয়। যদিও অভিযোগের কথা অস্বীকার করে সৌম্যজিতে পরিবারের তরফে ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়েছে।