টানলেন হ্য়ান্ডসকম্ব ও স্টইনিস! সিডনিতে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো স্কোরে পৌঁছাল অস্ট্রেলিয়া
শুরুতেই কিছু উইকেট হারালেও হ্যান্ডসকম্বের ইনিংসের সাহায্যে ভারতের বিরুদ্ধে সিডনিতে প্রথম ওডিআই ম্যাচে লড়াইয়ের মতো রান তুলল অস্ট্রেলিয়া।
দারুণ শুরু করেছিলেন ভূবনেশ্বর কুমার ও খলিল আহমেদ। ২ ওভারের মধ্যেই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে ভুবি ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান। এরপর মাঝের ওভারে বিশেষ উইকেট না পড়লেও অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি আটকে দিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। কিন্তু শেষ ৮ ওভারে ৮৮ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াই করার জায়গায় (২৮৮/৫) পৌঁছে দিলেন হ্য়ান্ডসকম্ব ও স্টইনিস।
শনিবার (১২ জানুয়ারি), থেকে শুরু হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের শেষ চ্যালেঞ্জ - একদিনের ম্যাচের সিরিজ। প্রথম ম্যাচেটসে জিতে আগে ব্য়াট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের অধিনায়ক ফিঞ্চ জোর দিয়েছিলেন মাঝের ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করা ও উইকেট হাতে রাখার উপরে। তারপর ডেথ ওভারে অল আউট অ্যাটাকে যাওয়ার রকথা বলেছিলেন।
ম্যাচে ঘটল ঠিক তাই। প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া তাদের দুই ওপেনার ফিঞ্চ (৬) ও অ্যালেক্স কেরি (২৪)-কেও হারায়। কিন্তু এরপর নিজেদের মধ্যে ৯২ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন খোয়াজা (৫৯) ও শন মার্শ (৫৪)। কিন্তু দুজনেরই স্ট্রাইকরেট ছিল ৮০-এর নিচে এবং কেউই সেট হয়েও অ্যাঙ্করের ভূমিকায় শেষ পর্যন্ত ইনিংসকে টানতে পারেননি।
ফলে ৪২ ওভারের মাথায় অস্ট্রেলিয়া ২০০ রানে পৌঁছেছিল। বাউন্ডারিও আসছিল না। কিন্তু শেষ ৮ ওভারে দুর্দান্ত পাওয়ার হিটিং-এর নমুনা রাখলেন হ্য়ান্ডসকম্ব ও স্টইনিস। প্রথমজন ৬১ বলে ৭৩ করে আউট হয়ে গেলেও, দ্বিতীয়জন ৪৩ বলে ৪৭ করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। সিডনির স্লো পিচে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ২৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রাটা বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।
এদিন শুরুটা যতটাই ভাল করলেন, শেষটা ততটাই খারাপ হল ভূবনেশ্বর কুমারের। শুধু ফিঞ্চের উইকেট তোলাই নয়, শুরুতে অফস্টাম্পের বাইরে ও উইকেটের সোজাসুজি, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই অঞ্চলে নিঁখুত বল করে অস্ট্রেলিয়ার ব্য়াটসম্যানদের বারে বারে বিপদে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু শেষ ওভারে তিনি ১৮ রান দেন।
উল্টো দিকে খলিল আহমেদও বাঁহাতিদের সমস্যা হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সামান্য় ভুল ত্রুটির কারণে তাঁকে কিছু বাউন্ডারি হজম করতে হয়। কুলদীপ ও জাদেজাও বেশ ছন্দে বল করেন। জাদেজার হাত থেকে অবশ্য কিছু শর্ট ডেলিভারি বেরিয়েছে, যেগুলি মারতে রেয়াত কেননি অজিরা। একই রকম ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগলেন শামিও। এদিন কিন্তু ভারতের ডেথ ওবারের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।