করোনার জেরে পিছিয়ে মে-তে হলেও পুরো আইপিএল আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী বিসিসিআই
করোনার জেরে পিছিয়ে মে-তে হলেও পুরো আইপিএল আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী বিসিসিআই
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আরও পিছিয়ে যেতে পারে আইপিএল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না হলে টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তা বলে হাল ছাড়তে রাজি নয় বিসিসিআই। আইপিএল পিছিয়ে মে মাসে আয়োজন করা হলেও টুর্নামেন্টের পূর্ব নির্ধারিত ৬০টি ম্যাচ আয়োজন করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
করোনার প্রভাব
ভারতে ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা ভাইরাস। সোমবার কলকাতায় এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশো।
স্থগিত আইপিএল
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। ২৯ মার্চের পরিবর্তে ১৫ এপ্রিল থেকে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা যেভাবে ভারতে প্রভাব বিস্তার করছে, তাতে এপ্রিলেও টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইপিএল হয় আরও পিছিয়ে মে মাসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে, নয়তো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
কী বলছে বিসিসিআই
আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বিসিসিআই। বোর্ডের এক সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, এপ্রিলে না হলেও অন্তত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আইপিএল শুরু করতে চাইছে তারা। তখনও সম্ভব না হলে এবারের আইপিএল বন্ধ করে দিতে হবে বলেও বিসিসিআই-র ওই সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাঠের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। এমনও হতে পারে যে করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে কোনও একটি রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হতে পারে টুর্নামেন্ট।
ম্যাচ সংখ্যা
কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে, করোনার জেরে আইপিএল পিছিয়ে গেলে টুর্নামেন্টের ম্যাচ সংখ্যাও কমে যাবে। কিন্তু তা করতে চায় না বিসিসিআই। এ ব্যাপারে তারা ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া আইপিএলের উদাহরণ তুলে ধরেছে। জানিয়েছে যে সে বছর মাত্র ৩৭ দিনে ৫৯টি ম্যাচ আয়োজন করেছিল বিসিসিআই। এবারও নিদেনপক্ষে মে মাসে আইপিএল শুরু হলে নির্ধারিত ৬০টি ম্যাচই আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করে বিসিসিআই।