রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল : রাজকোটের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্ট অরুণ লাল বিসিসিআই-র দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন
রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল : রাজকোটের পিচ নিয়ে অসন্তুষ্ট অরুণ লাল বিসিসিআই-র দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন
অসমান বাউন্স। বল পড়ে ব্যাটসম্যানের কাছে পৌঁছচ্ছে দেরিতে। কখনও বল উঠছে, তো কখনও নেমে যাচ্ছে। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মানদণ্ড হিসেবে ধরে নেওয়া রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পিচের এমন অবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট বাংলার কোচ তথা দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার অরুণ লাল। রাজকোটের পিচের কেন এমন অবস্থা, বিসিসিআই-কে তা দেখার অনুরোধও করেছেন বাংলার কোচ।
টসে জিতে ব্যাটে সৌরাষ্ট্র
ঘরের মাঠ রাজকোটে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সৌরাষ্ট্র। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক, খেলা শুরু হতেই তা বোঝা যায়। কারণ এই পিচে বোলারদের জন্য কার্যত কিছু নেই বলা চলে। মন্থর পিচে অসমান বাউন্স থাকার পাশাপাশি সুইংও যে অনিয়মিত, তাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ম্যাচের প্রথম দিনে অতি কষ্টে সৌরাষ্ট্রের পাঁচ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারে বাংলা।
অসন্তুষ্ট অরুণ লাল
রাজকোটের পিচের এই অবস্থা দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বাংলার কোচ অরুণ লাল। সাফ জানিয়েছেন, রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে এমন পিচ হওয়া উচিত নয়। বিষয়টি বিসিসিআই-র দেখা উচিত বলে মনে করেন বাংলার কোচ। তাঁর কথায়, এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শুরু হওয়ার ১৫ দিন আগে পিচ পরীক্ষা করে দেখা উচিত বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের।
নাজেহাল বাংলা
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের প্রথম দিন সৌরাষ্ট্রের মাত্র পাঁচ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে সক্ষম হন বাংলার বোলাররা। সেই পাঁচটি ডেলিভারি বিশ্বমানের বলা যেতে পারে। ৩ উইকেট নেন আকাশ দীপ। ১টি করে উইকেট নেন ঈশান পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদ। প্রথম দিনের শেষে ২০৬ রান করে সৌরাষ্ট্র। দ্বিতীয় দিনে অভিজ্ঞ তথা জাতীয় দলের সদস্য চেতেশ্বর পূজারা ও অর্পিত ভাসাভাড়ার পার্টনারশিপ ভাঙতে নাজেহাল হতে হচ্ছে বাংলার বোলারদের।
ফ্রন্টফুটে সৌরাষ্ট্র
প্রথম ইনিংসে বড় রানের পথে এগোচ্ছে সৌরাষ্ট্র। মোটামুটি ৪০০ কিংবা তার বেশি রান করে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট।