আউট মনোজ-ইশ্বরণ, ৩ উইকেট হারানো বাংলার ভরসা সুদীপ-ঋদ্ধিমান, পিছিয়ে ২৯১ রানে
আউট মনোজ-ইশ্বরণ, ৩ উইকেট হারানো বাংলার ভরসা সুদীপ-ঋদ্ধিমান, পিছিয়ে ২৯১ রানে
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে রাজকোটের মন্থর পিচে ব্যাট করতে গিয়ে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলা। সৌরাষ্ট্রের ৪২৫ রানের জবাবে ওপেনার সুদীপ ঘরামি, অভিমন্যু ইশ্বরণ ও অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারিকে হারিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে অরুণ লালের দল। বাংলার হয়ে পিচে রয়েছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা ও বাঁ-হাতি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কাছ থেকে লম্বা পার্টনারশিপ আশা করছেন বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা।
টসে হার বাংলার
সেমিফাইনালের মতো রঞ্জি ট্রফির ফাইনালেও টসে হেরে যান বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরণ। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন হোম টিমের ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম ইনিংস
সৌরাষ্ট্রের হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার। হার্ভিক দেশাই ও অভি বারটের মধ্যে ৮২ রানের পার্টনারশিপ হয়। ১১১ বলে ৩৮ রান করে বাংলার স্পিনার শাহবাজ আহমেদের শিকার হন হার্ভিক। ৫৪ রান করে পেসার আকাশ দীপের বলে আউট হন অভি। বিশ্বরাজ জাদেজাও সৌরাষ্ট্রের হয়ে ৫৪ রান করে আউট হন। তারই মধ্যে নিজস্ব ঢঙে ২৩৭ খেলে বাংলার বোলারদের রীতিমতো নাজেহাল করে দেন জাতীয় দলের তারকা চেতেশ্বর পূজারা। ৬৬ রান করে পেসার মুকেশ কুমারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হন পূজারা। সৌরাষ্ট্রের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান অর্পিত ভাসাভাড়ার সঙ্গে তাঁর লম্বা পার্টনারশিপও হয়। ২৮৭ বলে ১০৬ করা অর্পিতকে সাজঘরের রাস্তা দেখান শাহবাজ আহমেদ। তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ৪২৫ রানে শেষ হয় সৌরাষ্ট্রের ইনিংস।
বাংলার বোলিং
রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের প্রথম ইনিংসে বাংলার হয়ে ৪ উইকেট নেন পেসার আকাশ দীপ। ৩ উইকেট নেন স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। পেসার মুকেশ কুমার নেন ২টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন বাংলার তরুণ পেসার ঈশান পোড়েল।
বাংলার প্রথম ইনিংস
সৌরাষ্ট্রের দেওয়া ৪২৫ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলার ওপেনার সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্যু ইশ্বরণের মধ্যে ৩৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। ওই রানের মাথাতেই সাজঘরে ফিরে যান বাংলার দুই ওপেনার। এরপর অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৩৫ রান করে চিরাগ জানির বলে লেগ বিফোর উইকেট হন মনোজ। দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে বাংলা। সৌরাষ্ট্রের থেকে এখনও ২৯১ রানে পিছিয়ে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহারা।
সম্ভাবনা
রাজকোটের পিচের যা অবস্থা, তাতে ম্যাচের চতুর্থ দিনে ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকা অসুবিধাজনক হতে পারে। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে এমন আনস্পোর্টিং পিচ তৈরি করা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও তা ভেবে বাংলার তো লাভ নেই। ম্যাচ জিততে চতুর্থ দিনে বড় পার্টনারশিপ করতেই বাংলাকে। তবে অ্যাডভান্টেজে যে সৌরাষ্ট্র, তা বলাই যেতে পারে।