আইপিএল ২০১৯ নিলাম: হতাশার মাঝে বাংলাকে চমকে দিলেন প্রয়াস! দল পেলেন আরও দুইজন
আইপিএল ২০১৯ খেলোয়াড় নিলামে বাঙালি ক্রিকেটারদের কী অবস্থা।
একেকটি আইপিএল নিলাম আসে। আর হতাশা বাড়ে বাংলার ক্রিকেটারদের। গত আইপিএল-এ খেলা বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্য়াটসম্য়ান শ্রীবৎস গোস্বামীকে ধরে রেখেছিল তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তিনি ছাড়া বাকি সব ক্রিকেটারকেই, এমনকী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় মহম্মদ শামি ও ঋদ্ধিমান সাহাকেও ছেড়ে দিয়েছিল দলগুলি।
এদিনের নিলামে তাই অংশ নিয়েছিলেন দশ জন বাঙালী ক্রিকেটার। কিন্তু তাঁদের মধ্যে দল পেয়েছেন মাত্র তিনজন। বাকিরা দিনের শেষে অবিক্রিতই থেকেছেন। এমনকী কোনও দলে সুযোগ হয়নি বাংলার রঞ্জি দলের নিয়মিতদেরও। আইপিএল থেকে প্রতি বছর যখন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নিয়মিত তরুণ ক্রিকেটাররা উঠে আসছেন, তখন বাংলার এই করুণ ছবিটা খুবই হতাশা জনক। তবে এই হতাশার অন্ধকারে একমাত্র ালো দেখাচ্ছেন ১৫ বছরের তরুণ প্রয়াস রায় বর্মন।
প্রয়াস রায় বর্মন
মাত্র ১৫ বছর বয়সে কোটিপতি হয়ে গেলেন বাংলার প্রয়াস রায় বর্মন। ২০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস থাকা ক্রিকেটারটিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১.৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিল। তিনি বোলিং অলরাউন্ডার। লেগস্পিন করার পাশাপাশি ব্যাটের হাতটাও মন্দ নয় তাঁর। এবার বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। এত কম বয়সে আইপিএলে কেউ নিলামে কোটিপতি হয়নি। ফলে আইপিএল অভিষেকের আগেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্রয়াস।
মহম্মদ শামি
আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হলেও বাংলার হয়েই রঞ্জি খেলেন এই -জাতীয় দলের পেসার। অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁর সাম্প্রতিক রেকর্ড বেশ ভাল হওয়ায় তিনি ভাল দর পাবেন এটাই আশা করা হয়েছিল। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৪.৮ কোটি টাকায় কিনেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। দৌড়ে ছিল চেন্নাই সুপার কিংস-ও।
ঋদ্ধিমান সাহা
এখনও চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি বাংলা তথা জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্য়াটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। কাজেই তাঁকে কোনও দল নেবে কিনা, তাই নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাঁরও বেস প্রাইস ছিল ১ কোটি। তার থেকে সামান্য বেশি ১.২ কোটি টাকায় তাঁকে কিনে নিয়েছে তাঁর পুরনো দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
মনোজ তিওয়াড়ি
এই দিন নিলামের প্রথম নামটিই ছিল বাংলার রঞ্জি অধিনায়কের। ৫০ লক্ষ টাকা বেস প্রাইস দিয়ে তাঁকে কোনও দলই কিনতে চায়নি।
অশোক দিন্দা
মেদিনীপুরের এই পেসারেরও বেস প্রাইস ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তিনিও অবিক্রিতই থাকেন।
অন্যান্যরা
এছাড়া বাংলা থেকে নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন, অনুর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের প্রাক্তন পেসার ইশান পোড়েল, ওপেনার অভিমন্যু ইশ্বরন, পেসার কনিষ্ক শেঠ, মুকেশ কুমার, উইকেটরক্ষক ব্য়াটসম্য়ান বিবেক সিং। প্রত্যেকেরই বেস প্রাইস ছিল ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু একজনও ডাক পাননি।