করোনা ভাইরাসের জের, আরও পিছিয়ে যেতে পারে আইপিএল! কী ভাবনা বিসিসিআই-র?
করোনা ভাইরাসের জের, আরও পিছিয়ে যেতে পারে আইপিএল! কী ভাবনা বিসিসিআই-র?
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আরও পিছিয়ে যেতে পারে আইপিএলের ১৩তম সংস্করণ। টুর্নামেন্ট আরও দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইপিএলের অন্তর্ভূক্ত ফ্রাঞ্চাইজি ও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কথা বলবে বলে জানানো হয়েছে।
ভয়াল করোনা ভাইরাস
ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দুই লক্ষ। মারণ ভাইরাসে প্রভাবিত ভারতও। করোনায় এ দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড়শো জন।
আইপিএল স্থগিত
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাবে আইপিএলের ১৩তম সংস্করণ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ২৯ মার্চের পরিবর্তে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা ১৫ এপ্রিল। কিন্তু সেই সময়ও মারণ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না এলে কী করবে বিসিসিআই, তা নিয়ে ভাবনায় ক্রীড়া মহল।
অন্য দেশে কি করা সম্ভব?
রাজনৈতিক কারণে ২০০৯ সালে আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণ ভারত থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। টুর্নামেন্ট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী মোট ১৬৫ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশও প্রভাবিত হয়েছে মারণ ভাইরাসে। তাই সেসব ক্রিকেট খেলিয়ে দেশেও টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না বিসিসিআই।
আরও পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব?
করোনার প্রভাব তো বটেই, ১৫ এপ্রিল আইপিএল শুরু হলে এবং সেই সময় ভারত সরকারের ভিসা নীতি শিথিল না হলে বিদেশি ক্রিকেটাররা টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। সেই সমস্যা উতরে গেলেও বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড তাদের ক্রিকেটারদের আইপিএল খেলার অনুমতি দেবে কিনা, তা নিয়েওপ্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটারদের ভারতে আসতে বাধা দিতে পারে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্ট পিছিয়েও কোনও সুরাহা হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পিছিয়ে কবে হতে পারে আইপিএল?
আইপিএল পিছিয়ে দিলেই তো হল না, টুর্নামেন্ট কবে আয়োজন করা সম্ভব, তাও খতিয়ে দেখতে হবে বিসিসিআই-কে। কারণ এপ্রিল-মের পর আইসিসি-র ফিউচার ট্যুর প্রোগামের অন্তর্গত ক্রিকেট সূচি কিন্ত বেশ ঠাসা। জুলাই-তে আরবে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ হওয়ার কথা। এরপর পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইংল্যান্ড। আবার জুন-জুলাইতে বহুল চর্চিত হ্যান্ড্রেডের আসর বসতে পারে ইংল্যান্ডে। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান কে সরিয়ে রাখলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি ক্রিকেট খেলিয়ে দেশের ক্রিকেটারদের আইপিএলের জন্য পেতে পারে বিসিসিআই। সেই সময় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব কিনা, সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।