রঞ্জির কোয়ার্টারে চালকের আসনে বাংলা, ওড়িশার বিরুদ্ধে ১৬১ রানে এগিয়ে
রঞ্জির কোয়ার্টারে চালকের আসনে বাংলা, ওড়িশার বিরুদ্ধে ১৬১ রানে এগিয়ে
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ওড়িশাকে ২৫০ রানে অল আউট করে দেয় বাংলা। দুর্দান্ত বোলিং করলেন বাংলার পেসাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয় মনোজ তিওয়ারিদের। দুই উইকেট হারিয়ে ফেললেও বেড়েছে বাংলার লিড।
বাংলার প্রথম ইনিংস
কটকের ড্রিমস গ্রাউন্ডে টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় ওড়িশা। মাত্র ৯ ও ৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান বাংলার ওপেনার কৌশিক ঘোষ ও অভিমন্যু ইশ্বরণ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিষেক রমন ১ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৪ রান করে আউট হন অর্নব নন্দী। মনোজ তিওয়ারির ব্যাট থেকে আসে মাত্র চার রান। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা।
ঘুরে দাঁড়ানো
মনোজ তিওয়ারি আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন বাংলার উইকেটরক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে অনুষ্টুপ মজুমদারের ৯৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। দলের ১৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৪-র স্কোরে আউট হন শ্রীবৎস্য। এরপরেই ব্যাট করতে নামেন অল-রাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ।
লম্বা পার্টনারশিপ
টালমাটাল অবস্থা থেকে বাংলাকে টেনে তোলে অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আহমেদের পার্টনারশিপ। জুটিতে ১৭১ রান তোলেন দুই ক্রিকেটার। শুক্রবার সকালে ১৫৮ বলে ৮২ রান করে আউট হন শাহবাজ। ২৩৯ বলে ১৫৭ করেন অনুষ্টুপ। পুরোপুরি ব্যর্থ হয় বাংলার লোয়ার অর্ডার।
ওড়িশার জবাব
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েও দুর্দান্তভাবে ম্যাচ ধরে নেন ওড়িশার ওপেনার শান্তনু মিশ্র ও তিনে নামা দেবাশিস সামান্ত্রা। তাঁদের মধ্যে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দেবাশিসের (৬৮) উইকেট নেন বাংলার পেসার নীলকান্ত দাস। শান্তনু মিশ্রকে (৬২) ফেরান স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। বাংলার পেসার ইশান পোড়েলের বলে আউট হন গোবিন্দ পোদ্দারও। তৃতীয় দিনেও পরপর উইকেট হারায় ওড়িশা। অবশেষে ২৫০ রানে অল আউট হয় হোম টিম।
বাংলার বোলিং
ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন পেসার ইশান পোড়ল, নীলকান্ত দাস ও মুকেশ কুমার। ১ উইকেট নেন স্পিনার শাহবাজ আহমেদ।
বাংলার দ্বিতীয ইনিংস
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার শুরুটা দুর্দান্তভাবে করে ওপেনার তথা দলের অধিনায়ক অভিমন্যু ইশ্বরণ ও কৌশিক ঘোষ। তাঁদের মধ্যে ৬০ রানের পার্টনারশিপ হয়। ৮৯ বলে ৩০ রান করে আউট হন অভিমন্যু। ১৩০ বলে ৪১ রান করেন কৌশিক ঘোষ। যদিও পরপর আউটও হয়ে যান তাঁরা। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ২ উইকেটের বিনিময়ে ৭৯। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানে এগিয়ে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারিরা।