মোট কতবার রঞ্জি ট্রফি জিতেছে বাংলা, কতবার ফাইনাল খেলেছে, দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান
মোট কতবার রঞ্জি ট্রফি জিতেছে বাংলা, কতবার ফাইনাল খেলেছে, দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান
শক্তিশালী কর্নাটককে ১৭৪ রানে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলা। ১৩ বছর পর এই নজির গড়েছে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজ্য। দুই মরশুম আগে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছলেও সেই ম্যাচে দিল্লির কাছে হারতে হয়েছিল মহম্মদ শামি, ঋদ্ধিমান সাহাদের। তবে এবার ট্রফির এত কাছে পৌঁছে আর ফেরত আসতে রাজি নয় বাংলা। কী হবে, সে তো সময় বলবে। তার আগে দেখে নেওয়া যাক রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার পরিসংখ্যান কী বলছে।
আদিত্য চোপড়া রণবীরকে দীপিকার সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেছিলেন?
একটি জনপ্রিয় পত্রিকা অনুযায়ী, আদিত্য চোপড়া রণবীরকে পরামর্শ দিয়েছিলেন দীপিকার থেকে দূরে দূরে থাকতে।
পাঁচ মরশুম পর ট্রফি
১৯৩৪-১৯৩৫ মরশুমে অনুষ্ঠিত হওয়া রঞ্জি ট্রফির প্রথম সংস্করণে অংশ নেয়নি বাংলা। ১৯৩৬-১৯৩৭'র মরশুমে টুর্নামেন্টের ফাইনালে নওয়ানগরের (বর্তমান সৌরাষ্ট্র) কাছে হেরে যেতে হয়েছিল অম্বর রায়, পঙ্কজ রায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজ্যকে। এক মরশুম পর ফের রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ছেছিল বাংলা। সাউর্দান পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবার কাপ হাতে তুলেছিল মনোজ তিওয়ারিদের পূর্বসূরিরা।
এর কারণ কী ?
আসলে রণবীর সিংয়ের আগামী ছবি বেফিকরে-র পরিচালক আদিত্য চোপড়া। ছবির প্রচারের কারণে প্রকাশ্যে দীপিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না দেখানোরই পরামর্শ দেন আদিত্য।
ফাইনালে উঠেও হার
১৯৪৩-১৯৪৪, ১৯৫২-১৯৫৩, ১৯৫৫-১৯৫৬, ১৯৫৮-১৯৫৯, ১৯৬৮-১৯৬৯, ১৯৭১-১৯৭২ ও ১৯৮৮-১৯৮৯'র মরশুমে ফাইনালে উঠেও রঞ্জি ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল বাংলার। শেষবার তো দিল্লির বিরুদ্ধে তাদেরই মাঠে শোচনীয় হার হজম করতে হয়েছিল বাংলাকে। এক ইনিংস ও ২১০ রানে ওই ফাইনাল হেরেছিলেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এর বদলাও দারুণভাবেই নেয় বাংলা।
কীভাবে গুজব শুরু হল
বেশিরভাগ সময়ই দীপিকা এবং রণবীর একইসঙ্গে যে কোনও অনুষ্ঠানে যেতেন। কিন্তু দুজনে একই অনুষ্ঠানে আলাদা আলাদা আসা যাওয়া শুরু করতেই গুজবের শুরু। দীপিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সবসময় স্বীকারও করেছেন রণবীর। কিন্তু প্যারিসে বেফিকরে-র প্রচারে দীপিকাকে শুধুমাত্র বন্ধু পরিচয় দেন রণবীর আর তাতেই এই গুজবের আগুনে ঘি পড়ে।
দ্বিতীয় খেতাব
পরের মরশুম বা ১৯৮৯-১৯৯০'র রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ঘরের মাঠ কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফের দিল্লির মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ম্যাচ ড্র হলেও প্রতি উইকেটে রানের প্রেক্ষিতে ট্রফি জিতেছিলেন অরুণলাল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা।
গুজবের অবসান
কিন্তু ফের আম্বানীর পার্টি থেকে হাতে হাত দিয়ে রণবীর দীপিকা বেরিয়ে এসে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতেই সব গুজবের অবসান হয়।
পরের কাহিনি
১৯৯৩-১৯৯৪, ২০০৫-২০০৬ ও ২০০৬-২০০৭'র মরশুমে বাংলা রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছলেও রানার্স হয়েই খুশি থাকতে হয়। শেষ বার সচিন তেন্ডুলকর নেতৃত্বাধীন মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাদেরই মাঠে পরাজিত হতে হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাংলাকে। ১৩ বছর অপেক্ষা করার পর ফের রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছল বিসিসিআই সভাপতির রাজ্য। সবমিলিয়ে মোট ১৩ বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছেও মাত্র দুই বার ট্রফি জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাকে।