বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট , হরমনপ্রীতকে কুর্নিশ আট থেকে আশির
সচিন থেকে শুরু করে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সকলেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের রকস্টার হরমনপ্রীত কউরকে।
হরমনপ্রীত কউর। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক। পাঞ্জাবের গ্রাম থেকে উঠে আসা হরমনপ্রীত লড়াইটা ,করতে জানেন। ছোটবেলায় ভলিবল-বাস্কেটবল খেললেও স্কুলে তাঁকে ক্রিকেট খেলতে উৎসাহিত করা হয়। সেই থেকেই শুরু। ২০০৯ সালে একদিনের ম্যাচে অভিষেক। ব্যাটের মত বল হাতেও স্বচ্ছন্দ। তবে ডার্বিশায়ারে কাউন্টির মাঠে হরমনপ্রীত ব্যাটে যে ইতিহাস লিখলেন তা দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
[আরও পড়ুন:ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়াকে ধরাশায়ী করে বিশ্বকাপের ফাইনালে মিতালি বাহিনী]
১৯৮৩-র বিশ্বকাপে ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেব প্রাথমিক রাউন্ডের একটি ম্যাচে ১৩৮ বলে ১৭৫ রান করে দলকে দুরন্ত জয় এনে দিয়েছিলেন , এদিনের হরমনপ্রীতের ইনিংস যেন সেই কৃতিত্বকেও ছাপিয়ে গেল। প্রথমত সেটা প্রাথমিক পর্বের ম্যাচ ছিল, দ্বিতীয়ত পারফরমেন্সের নিরিখেও হরিয়ানার কপিলকে মাত করে দিলেন পাঞ্জাব পুত্রী।
স্বাভাবিকভাবেই হরমনপ্রীতের জন্য শুভেচ্ছাবার্তার ঢল সোশ্যাল সাইটে। সচিন তেন্ডুলকর থেকে নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সকলেই মুগ্ধ হরমনপ্রীতের পারফরমেন্সে।
হরমনপ্রীত মহিলাদের বিগ ব্যাশে খেলেন, আর এদিন সেই অস্ট্রেলিয়ায় খেলার অভিজ্ঞতাটাই অজিদের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছেন এই ভারতীয় অলরাউন্ডার। সিডনি থান্ডারের জার্সি গায়ে খেলার সময় নিয়মিত এই অজি ব্রিগেডের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনি খেলতে অভ্যস্ত। তাই বাকি ভারতীয় ক্রিকেটারদের থেকে এদিন তাঁর কাছ থেকে বেশি পরিণত ইনিংস পেয়েছে দল। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচ ভারতীয় দলের জন্য কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল ছিল। সেই ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রান করেছিলেন হরমনপ্রীত কউর।
৬ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার সময় কোনও পরিসংখ্যানের চাপ মাথায় আসতে দেননি এই পাঞ্জাবী তরুণী। দেশের জার্সির সম্মানের জন্য এদিনের সেমিফাইনালে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। আর ফলও পেয়েছেন হাতে নাতে ২০০৫ সালের পর ফের একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় মেয়েরা।